জেল হাজতে থেকেও এলাকার মানুষের ভালোবাসায় কাউন্সিলর হলেন টিনু

0
268

মোহাম্মদ জুবাইর:
সাধারণ ভোটারের চেয়ে প্রার্থী সমর্থক বেশি সুষ্ঠ ভোট গ্রহণে প্রশাসন সক্রিয় (চসিক)১৬নং উপ-নির্বাচন। (চসিক)১৬নং উপ-নির্বাচনে ইতিহাসে আওয়ামীলীগ সমর্থক দলীয় সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর অংশগ্রহণ। ভোটার বান্ধবহীন প্রার্থী ও জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় সবচেয়ে কম ভোটের ইতিহাস গড়লেন ও সুষ্ঠ সংঘর্ষহীন নির্বাচন এটিই প্রথম। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে ইভিএমের মাধ্যমে ১৫টি কেন্দ্রে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হয়েছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে শেষ পর্যন্ত ভোটারদের ভোট দিতে দেখা গেলেও উপস্থিতি ছিল কম। ৭ বার নির্বাচিত দীর্ঘ ৩৫বছরের সফল বরেণ্য কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু মৃত্যুবরণ করার পর উক্ত ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন উপলক্ষে যাতে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা অনিয়ম-অপ্রীতিকর না ঘটে প্রশাসন ছিল সক্রিয়। জোরদার করা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্বাচন কমিশনে অধীনে দায়িত্ব পালন করেছেন ৫জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকল প্রয়োজনীয় যতাযত ব্যাবস্থা। নির্বাচনে মোট ২১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে বিএনপি ও সতন্ত্র একজন এবং আওয়ামী লীগের ১৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। চকবাজার ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ৪১ জন। পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ২১৬ জন এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ৮২৫ জন। ১৫টি ভোটকেন্দ্রে ৮৬টি ভোটকক্ষ। ভোটগ্রহণের জন্য ১৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৮৬জন সহকারী প্রিসাইডিং ও ১৭২জন পোলিং কর্মকর্তাসহ ২৭৩ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। রিটার্নিং অফিসার ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,যথাসময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এই ওয়ার্ডের প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হচ্ছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ রয়েছে। তবে সরেজমিনে ঘুরে বিভিন্ন কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়,প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি সংখ্যা ছিল খুবই কম।সকাল হতে বিকাল ০৪টা পর্যন্ত প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে বিরতিহীন চলে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ ও ভোটারের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৫জন নির্বাহী ম্যাজিট্রেটের অধীনে পুলিশ,র‌্যাব,আনসার,স্থানীয় থানা পুলিশ সহ রিটার্নিং অফিসার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। কাপাসগোলা সিটিকর্পোরেশন স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রেই ছিল ৫টি কেন্দ্র।১টি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার অর্পন কুমার চৌধুরী বলেন- যথাসময়ে ভোট শুরু হয় এবং বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। আমার কেন্দ্রে মোট ১৫০৬ ভোটের মধ্যে ৩৬১ভোট পরেছে।তার মধ্যে (ক্যাপ প্রতিক) সাইদুল আালম সর্বচ্চবেশি ভোটে এগিয়ে আছে। তিনি আরো বলেন ভোট গ্রহণের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত কোনো অনিয়ম হয়নি। যথাসময়ে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রের ভোট জমা দিয়েছি যা কিনা মোট ভোটের ২৪ শতাংশ। শুরু হতে ভোট ছিল একদম নিরপেক্ষ সুষ্ঠু সুন্দর শান্তিপ্রিয় পরিবেশে সু-সম্পন্ন হয়েছে। একাধিক কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সাথে কথা বললে তারা ভোটার উপস্থিতি কম বলে স্বীকার করেন। এবং ভোটগ্রহনে কোথাও কেন্দ্রের ভিতরে কোন গোলযোগপূর্ণ অনিয়ম কথা বলেননি। কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শওকত ওসমান জাহাঙ্গীর এয়ারকন্ডিশন মার্কা সিটিজি ট্রিবিউনের প্রশ্নের জবাবে বলেন,নির্বাচনের সুষ্ঠতার বিষয়ে জানতে চাইলে ভোট প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের উত্তরে বলেন এ ব্যাপারটি পরে পরে বলতে পারবো বলে এমনই মন্তব্য করেছেন। ভোট গ্রহণ প্রসঙ্গে ভোটারদের কাছে সরাসরি জানতে চাইলে তারা বলেন- নির্বিগ্নে ভোট দিয়েছেন এবং কোন প্রকার অসুবিধা হয়নি।তবে ভোটার উপস্থিতি কম বলে জানিয়েছেন। ভোটারদের ভোটের মাঠে ভোটার উপস্থিতি কম কেন প্রশ্নের জবাবে বলেন- নিরাপত্তারভয়ে,সহিংসতার শিকার ও মারামারির শঙ্কায় মানুষ অনেকেই ভোট দিতে ইচ্ছে সত্বেও আসে নি। এছাড়াও ভোটার বান্ধবহীন প্রার্থী ও জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় সবচেয়ে কম ভোটের ইতিহাস গড়লেন ও সুষ্ঠ সংঘর্ষহীন নির্বাচন এটিই প্রথম। অনেক ভোটারদের মধ্যে ছিল মিশ্রপ্রতিক্রিয়া ও নীতিবাচক মন্তব্য। যা কিনা চোখে পড়ার মতো। বাস্তবে পরিসংখ্যানে তাদের মন্তব্য প্রকাশে বলেন। ওয়ার্ডের মোট ভোটের মাত্র চারভাগের একভাগেরও কম ছিল ভোটার উপস্থিতি। যা সত্যি সত্যিই প্রশ্নবিদ্ধ অবিশ্বাস্য ব্যাপার।তবে প্রার্থীর সমর্থকের চাপ ছিলো বেশি। ও নিরাপত্তা শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব পালন কর্তব্য পালনে ছিলো সন্তুষ্ট জনক। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে পুলিশসহ কর্তব্যরত কর্মকর্তারা ছিলেন আরো অনেকেই। পুলিশ কর্মকর্তার কাছে শৃঙ্খলা সুষ্ঠতা ও বিষয়ে জানতে চাইলে উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মুজাহিদুল ইসলাম (মুজাহিদ) বলেন- নির্বাচন সুষ্ঠু শৃঙ্খল শান্তিপ্রিয় হয়েছে যা আপনারাও স্বচক্ষে দেখেছেন। নির্বাচন কমিশনার অধীনে কর্তব্য পালন কালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম,কাজি তাহমিনা শারমিন,মোঃ রায়হান মেহবুব,সুমাইয়া ইয়াসমিন ভোটগ্রহণ ও কেন্দ্রের স্বার্বিক শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বলেন- কোথাও সহিংসতা হয়নি। আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক ছিল আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি । সুন্দর সুষ্ঠু সুশৃঙ্খলভাবে ভোট সম্পূর্ণ হয়েছে। আমরা শুধু আইন শৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত আছি।কোথাও কেহ সহিংসতার শিকার কার হয়নি। ভোটার উপস্থিতি কেমন তা প্রিজাইডিং অফিসার বলতে পারবে। ২১জন প্রার্থীরা হলেন,যুবলীগ নেতা নূর মোস্তফা টিনু (মিষ্টি কুমড়া), মো. সামশেদ নেওয়াজ রনী (ঘুড়ি প্রতীক), মো. নাজিম উদ্দীন (কাঁচি),বিএনপির একক প্রার্থী এ কে এম সালাউদ্দিন কাউসার লাবু (হেডফোন), মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মমতাজ খান (পান পাতা), কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর স্ত্রী মেহেরুন্নিছা খানম (ড্রেসিং টেবিল), মো.আলী আকবর হোসেন চৌধুরী (কাঁটা চামচ), মো.সেলিম রহমান (ঠেলাগাড়ি), কায়ছার আহমেদ (প্রদীপ), মো.আবুল কালাম চৌধুরী (সূর্যমুখী ফুল), শওকত ওসমান (এয়ারকন্ডিশনার), মো. নোমান চৌধুরী (ট্রাক্টর), মো.শাহেদুল আজম শাকিল (ক্যাপ), মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন (রেডিও), মো. আজিজুর রহমান (হেলমেট), মো. আব্দুর রউফ (ব্যাডমিন্টন মার্কা), মো.নুরুল হুদা (ঝুড়ি), কাজী মুহাম্মদ ইমরান (লাটিম), মো.রুবেল ছিদ্দিকী (করাত), মো.আলাউদ্দিন (টিফিন ক্যারিয়ার), মোহাম্মদ জাবেদ (স্ট্রবেরি)।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ অক্টোবর, ২০২১/ দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here