শরীয়তপুর চিকন্দীতে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট

0
299
 প্রতিনিধি, শরীয়তপুর
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র  করে  সাতটি  বসত ঘরে ভাংচুর, লুটপাট ও বাড়িতে নারীদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বসতঘরের সকল মালামাল শুধু ভাংচুর ও মারপিট করে ক্ষান্ত হয়নি, ঘরের মধ্যে থেকে সকল দামীও জিনিপত্র মালাল লুটপাট  করে  স্থানীয় প্রতিপক্ষ দল। লুটপাট ও ভাঙচুর করে ওই বাড়ি থেকে ৮টি গরু, ১০টি ছাগল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক মালামাল লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। মঙ্গলবার  (৫ অক্টোবর ) বিকেলে  প্রকাশ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে । শনিবার   (৯ অক্টোবর ) দুপুরে গিয়ে দেখা যায়  কোনো পুরুষ লোক ওই বাড়িতে আসেননি। সবাই প্রতিপক্ষের দলের ভয়ে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।বাড়িতে শুধু মহিলা ও শিশু বাচ্চাদের  পাওয়া গেছে। রান্না ঘরে রান্না করার মতও ব্যবস্থা নেই। আত্মীয়দের বাড়ি থেকে দেওয়া খাবারে চলছে তাদের দিন। স্থানীয়দের থেকে জানা জায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের আবুরার সাবেক মেম্বার রমিজ খান ও বর্তমান মেম্বার তমিজউদদীন খানের সাথে দির্ঘদীন যাবৎ আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে দন্ধ লেগে আছে।
প্রায়,প্রায় তাদের মধ্যেই মারা মারি হামলা হয়ে থাকে।এর অংশ হিসেবে  মঙ্গলবার (৫অক্টোবর) বিকেলে তমিজ খান,মোসলেম মাদবর,গিয়াসউদ্দিন খা, আব্বাস খা,ইদ্দিস খা,আলমাস খা, হাবি খা সহ ৫০ / ৬০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে  রমিজ খার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করে ঘর ভাংচুর করে সকল মালমাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।এসময়ে মনির খা,সোলেমান খান,নয়ন খান,রহমান খান,সোবাহান খান,হাবিব খান,ইদ্দিস চৌকিদারের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে রেখে যায়। এতে প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো। নয়ন খার স্ত্রী পারভিন বেগম বলেন, বিকেলে হঠাৎ করে মেম্বার তমিজউদদীন খান,ইদ্রিস খান ও আলমাস খার নেতৃত্বে এলাকার ৫০ থেকে  জন  আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে থাকা সকলকে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে। তারা আমাদের ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে সবকিছু ভাঙচুর শুরু করে। আমরা চিৎকার শুরু করলে আমার গলায় ছুরি ধরে ।
বাচ্চার গলায়ও ছুরি ধরে বলে, চিৎকার করলে মেরে ফেলব। প্রায় দুই ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে তারা  স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ সব কিছু নিয়ে চলে যায়। রহমান খার স্ত্রী ফাহিমা বলেন, হঠাৎ করে অনেক লোকজন ঢুকে আমাদের বাড়িতে। আমাদের দুটি ঘর ভাঙচুর করে। সন্ত্রাসীরা আমাদের ঘরের ফ্রিজ, টেলিভিশন, আলমিরা, খাট, রান্নাঘর, সবকিছু ভাঙচুর করে। ঘরের মধ্য থেকে জামাকাপড় নিয়ে পুড়িয়ে ফেলায়। যাওয়ার সময় গরু, ছাগল ও কবুতর নিয়ে যায় তারা। তাদের তাণ্ডব দেখে আমরা ভয়ে চুপ করেছিলাম। এবিষয়ে মেম্বার তমিজউদদীন খান বলেন, শুনেছি গ্রামে ঘর- বাড়ি ভাংচুর হইছে।তবে আমি থাকি বাজারে তাই গ্রামে কারা এই কাজ করছে আমি জানি না।আমার নামে যেই অভিযোগ তুলে তারা সেটা মিথ্যা অভিযোগ। সামনে নির্বাচন তাই এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনা স্থানে আমি গিয়েছিলাম তারা অভিযোগ দিয়েছেন। দুই পক্ষকে থানায় আসতে বলেছি।তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৯অক্টোবর,২০২১/ এইচ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here