আবু সায়েম
কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ ও স্পেশাল টিম যৌথ অভিযান চালিয়ে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের উদিতার বিল মৌজায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ১৯০ টি ঘর জবরদখল মুক্ত করে উচ্ছেদ করা হয়েছে।উচ্ছেদ অভিযানে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ( ভূমি) রাহাত উজজামান,বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আশিকুর রহমান, ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা দীপন চন্দ্র দাস এবং স্পেশাল টিমের ওসি একেএম আতা এলাহী উপস্থিত ছিলেন।এতে করে সরকারী সম্পদ ভূমিদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ১০০ একর জমি। তবে ভূমিদস্যুদের কাউকে আটক করতে পারেনি।
১২ অক্টোবর (মঙ্গলবার ) ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের উদিরতলা এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সহকারী কমিশনার ( ভূমি) রাহাত উজজামানের নেতৃত্বে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আশিকুর রহমান এবং শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও স্পেশাল টিমের ওসি একেএম আতা এলাহীর সার্বিক তত্বাবধানে বিট কর্মকর্তা ও সিপিজি সদস্যদের সহযোগিতায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা তৈরীকৃত ১৯০টি ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়।বিষয়টি অবগত করেছেন স্পেশাল টিমের ওসি একেএম আতা এলাহী।
তিনি বলেন ভূমিদস্যুদের জায়গা হবে না। যারা বন বিভাগের জমি দখল করে জবরদখল করছে তাদের আমরা কঠোর হাতে প্রতিরোধ করবো। বন বিভাগের জমিতে অবৈধ স্থাপনা ও নির্মাণাধীন ঘর উচ্ছেদ করে ১০০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে । অভিযানে ফাঁসিয়াখালী বিট কর্মকর্তা, স্পেশাল টিমের সদস্য বনকর্মী ও সিপিজি সদস্যবৃন্দসহ স্টাফগণ অংশ গ্রহণ করেন।
সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহী ।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহা. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, সরকারি বনভূমি উদ্ধারে বন বিভাগ সচেষ্ট রয়েছে। সরকারি জমিতে কেউ স্থাপনা নির্মাণ করলে উচ্ছেদ করা হবে এবং জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বনভূমি রক্ষার্থে সচেষ্ট ভূমিকা পালন করবো। অভিযান চালিয়ে ভূমি জবরদখল এবং পাহাড়খেকোদের আইনের আওতায় আনা হবে। বন অপরাধ দমনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বানও জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা