আলোকিত ডেস্ক: মানুষের অসম্ভব কিছু স্বপ্ন থাকে,অবিশ্বাস্য কিছু মনোবাঞ্চা থাকে যা কখনোই পূর্ণ হয় না। কিন্তু বিস্ময়ের জন্ম তখনই হয় যখন মানুষ অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলে।এবার ঘটল এমনই এক ঘটনা।নারং ফেটচারাজ। থাইলেন্ডি এক জেলে তিনি।প্রতিদিনই মাছ ধরতে যান হাজারো স্বপ্ন বুকে নিয়ে।কিন্তু তিনি কি কখনো জানতেন মাছ ধরতে গিয়ে কোটিপতি হয়ে যাবেন! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি মাছ ধরতে গিয়ে তিনি পেয়েছেন ১১ কোটি মূল্যের ‘সামুদ্রিক স্বর্ণ’।এমনই এক খবর ওঠে এসেছে ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়,প্রতিদিনের মতই সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন নারং। ফেরার পথে সুরাট থানি প্রভিন্সের নিয়োম সৈকতে একটি পাথরের মতো বস্তু পান তিনি। পাথর সদৃশ ওই বস্তু সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলেও সন্দেহ হয় তার। কাছে গিয়ে তিনি ওই বস্তুতে মোমের মতো উপাদান দেখতে পান। তিনি ধারণা করেন ওটা তিমির বমি হতে পারে। এরপর আর কোনো চিন্তা না করেই কিছু টাকা-পয়সার আশায় ওই বস্তুটি প্রিন্স অফ সোংক্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে যান নারং। বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষার পর জানা যায়, নারংয়ের খুঁজে পাওয়া পাথরের দাম ১১ কোটি টাকা। নারং মূলত খুঁজে পেয়েছেন তিমির বমি। এই বস্তুটির মূল্য প্রায় এক মিলিয়ন পাউন্ড।বিশেষজ্ঞরা বলেন, ওই বস্তুর নাম অ্যামবারগ্রিস। এটি মূলত স্পার্ম জাতীয় তিমির বমি যা জমে শক্ত হয়ে যায় এবং সমুদ্রে ভেসে বেড়ায়। নারংয়ের পাওয়া অ্যামবারগ্রিসের ওজন ৩০ কেজি। সর্বশেষ যে অ্যামবারগ্রিস পাওয়া গিয়েছিল তার দর অনুযায়ী নারংয়ের অ্যামবারগ্রিসের মূল্য ১১ কোটি টাকা।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা