ক্রাইম রিপোর্টার
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব (শারদীয় দূর্গোৎসব) দূর্গা প্রতিমার উৎসব। দূর্গা প্রতিমার উৎসবটি এলেই গজারিয়া উপজেলায় শীতের আমেজও বয়ে আসে। শীতের আভাসেই শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব মা-দুর্গার দুর্গাপূজা উৎসব। পূজা উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে ব্যাপক আয়োজন। আর এই আয়োজন
উপভোগ করতে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ এড.মৃণাল কান্তি দাস এমপি। এ বছর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১০টি মন্দিরে শারদীয় দূর্গা পূজার আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনে যান তিনি। এসময় স্থানীয় সাংসদ নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটি মন্দিরে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। এমপির পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন ও বিভিন্ন সহযোগিতার ফলে সকল পূজারীবৃন্দ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এ সময়ের তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, গজারিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকি খোকন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার আখি, গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবুতালেব ভুইয়া, হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু, ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাঈদ লিটু, যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান খান, গজারিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সৌরভ কর্মকার, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, মন্দির কমিটির সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও এর অঙ্গসংগঠন, বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।সাংসদ হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের কাছে এবং মন্দির কমিটির কাছে অনুরোধ করেন যাতে তাদের যেকোনো সমস্যা হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে অবহিত করা হয়। তিনি বলেন বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই সার্বজনীন উৎসবকে কেন্দ্র করে কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানা তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা