প্রতিনিধি,সারিয়াকান্দি
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা পড়ার পর শহিদুল ইসলাম (৩১) নামে এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ থেঁতলে দিয়েছেন গৃহবধূর লোকজনেরা। গত মঙ্গলবার হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর গ্রামে দিবাগত রাত প্রায় ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শহিদুল ইসলাম স্থানীয় হাটশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কেরাণী পদে চাকুরী করেন। সে একই গ্রামের মৃত সায়দার বানের একমাত্র ছেলে। স্থানীয়রা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন দিবাগত রাত ৯টার দিকে খাওয়া দাওয়া শেষে ওই গৃহবধূ ঘরে শুয়ে পড়েন। এসময় তার স্বামী জুয়েল প্রামানিক (৩০) মশা মারার কয়েল আনতে পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে যান। এর ফাঁকে গৃহবধূর ঘরে ঢুকে পড়েন ওই শহিদুল। এমন সময় স্বামী জুয়েল প্রামানিক ঘরে শহিদুলকে দেখতে পান। শহিদুল পালানোর চেষ্টা করলে ঝাঁপটে ধরে ফেলেন জুয়েল প্রামানিক। জুয়েল প্রামানিকের চিৎকারে বাড়ীর অন্যান্য লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এরপর শহিদুলের যৌনাঙ্গ থেঁতলে দেন। এছাড়াও তাকে তিন চারজন মিলে পদদলিত করে লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করা হয়। অচেতন অবস্থায় তাকে প্রথমে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার সন্ধ্য়ায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। শহিদুলের ভগ্নীপতি ছাখাওয়াত হোসেন বলেন, শহিদুলের অবস্থা আশংকাজনক। শহিদুলের জেঠাত ভাই আবদুল আজিজ (৫০) বলেন, তার শরীরে এমন ক্ষত হয়েছে বাঁচামরা সমান কথা। অপরদিকে ওই গৃহবধূর এক আত্মীয় লিলি খাতুন বলেন, গৃহবধূকেও হাঁটু থেকে পা পর্যন্ত পেটানো হয়েছে। সেও গুরুতর অসুস্থ হয়ে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা