গাছ অক্সিজেন দিয়ে আমাদের জীবন বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় গাছ থেকে আমরা ফল ও অর্থেরও যোগান পেয়ে থাকি।সরকারি ভাবে নির্দেশনা রয়েছে বেশি বেশি গাছের চারা রোপণ করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের রৌহাদহ মৌজার দাগনং ৫৯ জমিতে গাছের চারা রোপণ করা হয়। পারিবারিক প্রতিহিংসা করে ওই সব চারাগাছ গুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের কড়িতলা গ্রামের মৃত ইউনুস আলী মন্ডলের ছেলে মো. লিটন মিয়া মন্ডল তার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ২ শতক জমিতে ৫টি কাঁঠাল, ৫টি আম,৪টি মেহগনি ও শিমুল গাছের চারা রোপণ করে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে, একই এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো. শাহ আলম মন্ডল পারিবারিক প্রতিহিংসা করে রোপণ করা চারাগাছগুলো উপড়ে ফেলে।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে বসে মিমাংসা না হলে ২৯সেপ্টেম্বর চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ওই শাহ আলমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ তদন্ত করে ইনচার্জ মো. দুরুল হোদা আবারও লিটন মন্ডলকে চারাগাছ রোপণ করার পরামর্শ দেন। পরে বাজার থেকে চারাগাছ কিনে এনে লিটন মন্ডল তা রোপণ করেন।গত ১৪ অক্টোবর সকাল ৭ টার দিকে শাহ আলম মন্ডল আবারও গাছগুলোর মাথা ভেঙে ফেলে। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলম মন্ডল এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ওই জমির মধ্যে আমারও অংশ আছে। তাই আমার জমি থেকে ওদের লাগানো গাছ আমি বলেই উপড়ে ফেলেছি। লিটন মিয়া মন্ডল বলেন, আমি আমার বাবার জমিতে গাছের চারা রোপণ করেছি।শাহ আলম মন্ডল তা গোপনে উপড়ে ফেলেছে। আমি এবার আদালত পর্যন্ত যাবো। চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. দুরুল হোদা বলেন,অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’পক্ষের সাথে কথা বলে মিমাংসা করা হয়েছে।আবারও যদি ঝগড়াঝাটিতে লিপ্ত হয়, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।