প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল
তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে টাঙ্গাইলের কালহাতী উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবার কথা রয়েছে। গত নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে থাকা এক নেতা হতে চান নৌকার মাঝি। এ ব্যাপারে কালিহাতী উপজেলা, জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের নিকট ঐ ইউনিয়নের আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগ সোমবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
জানা যায়, তৃতীয় ধাপে কালিহাতী উপজেলার নাগ বাড়ি ইউনিয়নে নির্বাচন হবার কথা রয়েছে। ওই ইউনিয়নে আ’লীগের নৌকার মাঝি হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন এক সময়কার বিতর্কিত এবং আলোচিত আ’লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর আস্থা ভাজন বেলায়েত হোসেন রানা সিদ্দিকী। রানা সিদ্দিকী ২০১৭ সালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে তালা প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন। শুধু তাই নয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে বহুল আলোচিত ও হজ্জ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যকারী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। অপরদিকে তিনি ওই নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর)আসনে আ’লীগের দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে এবং মুরাদ সিদ্দিকীর পক্ষে মাথাল প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। বিতর্কিত এই নেতা যাতে নৌকার মাঝি না হতে পারেন সেজন্য ওই ইউনিয়নের দলীয় নেতা-কর্মীরা সোমবার জেলা ও উপজেলা আ’লীগের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে বেলায়েত হোসেন রানা সিদ্দিকীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কোন মন্তব্য না করে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন,নৌকার বিরোধীতাকারী এবার নিজেই ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিব্রত দলীয় নেতা-কর্মীরা। তাদের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হচ্ছে সমালোচনা।এসব ব্যাপারে কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শরিফ আহম্মেদ রাজু বলেন, যারা আওয়ামী লীগে থেকে নৌকার বিরোধীতা করে আমি তাদের ঘৃণা জানাই। লিখিত অভিযোগ পেয়ে সভাপতি ও সম্পাদকের মাধ্যমে জেলা আ’লীগকে বেলায়েত হোসেন রানা সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।