ক্রাইম রিপোর্টার
গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নে উপজেলা পরিষদের অর্থায়ণে নয়ানগর গ্রাম হতে নয়ানগর জেলেপাড়া ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত নির্মিত ইটসলিং রাস্তা বদলে দিয়েছে দরিদ্র মানুষের ভাগ্য। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে পারছে শত শত পরিবারের লোকজন ও প্রাইমারি স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থী, শিক্ষক অভিভাবকরা। ফলে গ্রামীণ শিক্ষা,যোগাযোগে এসেছে নতুন সম্ভাবনা। রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি কেটে বেশ চওড়া করে ইটের সলিং করে রাস্তা নির্মাণ করে দেওযায় নয়ানগর গ্রাম ও জেলে পাড়ার লোকজনের যাতায়াত এবং প্রাইমারি স্কুল শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ হয়েছে। নয়ানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগও পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নয়ানগর
গ্রামের পাকা রাস্তা হতে প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত এই রাস্তাটি উপজেলা পরিষদের অর্থায়ণে ইটের সলিং এর মাধ্যমে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে।নয়ানগর গ্রামের বেশ কয়েকজন জানান, নতুন এই রাস্তাটির ফলে গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো। যাতায়াতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ রাস্তাটি। নয়ানগর গ্রামের গৃহবধূ ফাতেমা বেগম বলেন, গজারিয়া ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন এর প্রচেষ্টায় মাটি ও মানুষের নেতা মুন্সিগঞ্জ তিন আসনের এমপি এডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস ও গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আমিরুল ইসলাম এর প্রচেষ্টায় আমাদের এই রাস্তাটি করে দেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আমিরুল ইসলাম বলেন,
নয়ানগর পাকা রাস্তা থেকে নয়ানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জেলেপাড়ার রাস্তাটি অত্যন্ত একটি জনগুরুত্বপূর্ণ
রাস্তা। ঐ রাস্তায় আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণ করেছি এবং কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বর্তমানে এখানকার দুর্গম এলাকার ছেলেমেয়েরা যারা লেখাপড়া করছে তারা এই রাস্তাটি নির্মাণের ফলে সহজে যাতায়াত করতে পারছে। নয়ানগর গ্রামের পাকা রাস্তা হতে প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত ইটের সলিং নতুন রাস্তাটি হওয়ায় ওই গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে। এর ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষের নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আশা স্থানীয় জনগণের। সড়কটি নির্মাণের সার্বিক দায়িত্বে থাকা গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সফল মেম্বার ও গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার দায়িত্ব আমি ভালোভাবে কাজ সম্পন্ন করেছি। আমরা ইটের সলিং এর মাধ্যমে এই রাস্তাটি কাজ করেছি। এর আগে এখানে একটি মাটির রাস্তা ছিলো। তাই অনেক কষ্ট করে মাটি কেটে রাস্তাটি নির্মাণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচীর আওতায় মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের এমপি এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এর তদারকিতে উপজেলা পরিষদের অর্থায়ণে ওই সড়কটি ইটের সলিং করে এলাকার মানুষের ভাগ্য বদলে দেন।এবং গ্রামবাসীর এই পুরনো দাবী মাননীয় এমপি মোহদয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি এবং আমি যেন আগামী দিনেও গজারিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরে গিয়ে জনগণের পাশে থেকে উন্নয়নমূলক কাজ করে যেতে পারি । পরে তিনি মাননীয় এমপি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের কৃতজ্ঞতা জানান।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা
