ফেনীতে সংঘর্ষের ঘটনায় ২মামলা : আসামি ৪০০ 

0
304

প্রতিনিধি,ফেনী

ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা চারশতজনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে এ দুটি মামলা দায়ের করে।ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবারের ঘটনায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামিদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।এদিকে, একই ঘটনায় রবিবার আহনাফ তৌসিফ মাহমুদ লাবিব (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাব। সে শহরের মধ্যম রামপুর এলাকার সাইফুদ্দিন মাহমুদের ছেলে।ফেনীস্থ র‌্যাব-৭’র ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক মো. জুনায়েদ জাহেদী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লাবিব তার দুই বন্ধু মুন্না ও সফীকে নিয়ে হাতে এক বোতল পেট্রোলসহ পাশের কালী মন্দিরে যায়। সেখানে মন্দিরের পুরোহিতকে ব্যাপক মারধর ও মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বলে লুঙ্গি পর না হয় ধুতিকে লুঙ্গির মত করে ঝুলিয়ে পর, এরপর তাকে কালেমা পড়ায়।

যার ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলশ্রুতিতে র‌্যাব-৭ফেনী ক্যাম্প তাদের তৎপরতা বৃদ্বি করে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে নাশকতা ও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত সংক্রান্ত মামলার প্রক্রিয়া চলমান আছে।অপরদিকে শনিবারের সংঘর্ষের স্থানগুলো পরিদর্শন করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান, র‌্যাব-৭’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ, পুলিশ সুপার খন্দকার নুরুন্নবী, মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোশারফ হোসেন,সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী, সহসভাপতি হাজী শহিদ উদ্দিন, মুশফিকুর রহমান পিপুল, খদ্দর পট্টি রোড অর্থ সম্পাদক, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, জেলা হিন্দু বৈদ্য খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুকদেব নাথ,জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বাবু অনিল নাথ, সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা।দুপুরে পরিদর্শন শেষে ফেনীর জয় কালী কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, ঘটনাটি ধর্মীয় বা রাজনৈতিক নয়। এটা দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে।পুলিশ সুপার খন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ফেনী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর। আমরা কখনো কল্পনাও করিনি এই শহরে এমন ঘটনা হবে। পূজার সময় মানুষ নির্বিঘ্নে উৎসব করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়েছে। শনিবারের ঘটনা অনভিপ্রেত। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ফৌজদারি অপরাধ করেছে। মামলা হয়েছে, অল্পসময়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।প্রসঙ্গত, শনিবার বিকাল থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ফেনী বড় জামে মসজিদের সামনে হিন্দু সম্প্রদায়ের মিছিলকে কেন্দ্র করে দাফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে ফেনীর সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ক্যামেরাম্যান রিয়াদ মোল্লা, ২০/২৫ জন মুসল্লি ও জেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ডালিম ও নবাবপুর ইউনিয়ন সভাপতি হক সাব,ফয়সালসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন।

আলোকিত প্রতিদিন // আতারা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here