শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে কচুয়ায় আলোচনা ও দোয়া মাহফিল 

0
269

প্রতিনিধি,কচুয়া

কচুয়া উপজেলার ২নং পাথৈর ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. কামাল পারভেজ মিয়াজীর পক্ষ থেকে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়।

আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত মুসল্লীগনণ শেখ রাসেলের জীবন কাহিনী নিয়ে আলোচনা করেন। ৪ বছর বয়সে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে শেখ রাসেলের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। প্রথম দিকে পরিবারের কাউকে না কাউকে স্কুলে দিয়ে আসতে হতো। ধীরে ধীরে নিজেই স্কুলের ব্যাপারে আগ্রহী হয় শেখ রাসেল। তখন স্কুলের যাওয়ার জন্য রাসেল ব্যাকুল হতো। স্কুলের মধ্যেই রাসেলের অনেক বন্ধু জুটে যায়। মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার অদ্ভূত ক্ষমতা ছিল তার। সে বন্ধুসুলভ ছিল। ধীরে ধীরে পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে ওঠে রাসেল। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে শেখ রাসেলের জন্য একজন গৃহশিক্ষিকা রাখা হয়।শেখ হাসিনার স্মৃতিচারণে জানা যায়, শিক্ষিকাকে খুব সম্মান করতো শেখ রাসেল। খুব দুষ্টুুপ্রকৃতির ছিল , তাই শিক্ষককে রাসেলের কথা শুনতে হতো। নইলে সে পড়াশোনায় মনোযোগী হতো না।

তাই শিক্ষিকাও রাসেলের কথা অনুযায়ী শিক্ষাদান করতেন। শিক্ষিকার খাবার-দাবারের ব্যাপারে খুব সচেতন ছিল শেখ রাসেল। প্রত্যেক দিন শিক্ষিকার জন্য দুটি করে মিষ্টি বরাদ্দ থাকতো এবং শিক্ষিকাকে খেতে হতো রাসেলের ইচ্ছানুযায়ী। এভাবেই চলছিল শেখ রাসেলের বাল্যকাল। তখন পরিবারের সবার আদর কেড়ে মাতিয়ে রাখতো ৩২ নম্বর ধানমন্ডির পুরো বাড়ি। ঐতিহাসিক এই বাড়িতে দিনভর রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনা, সভায় মুখরিত থাকতো। সেখানেও সবার স্নেহ কাড়তো ফুলের মতো শিশু রাসেল। ছোট্ট একটি বাইসাইকেল নিয়ে ছুটে বেড়াতো বাড়ির আঙিনায়। আর ৩২ নম্বরের বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে উদ্বিগ্ন স্নেহময়ী মা তীক্ষ্ণ নজর রাখতেন দুষ্টু ছেলেটির সাইকেল-পরিক্রমা যেন তার চোখের পলকেই থাকে।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট মানবতার ঘৃণ্য শত্রু-খুনি ঘাতক চক্রের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে  নিষ্ঠুরভাবে তাকেও হত্যা করেছিল।মৃত্যুকালে রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা তাকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল।ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, তাদের সেই অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থ। শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ ও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের কাছে এক ভালবাসার নাম।

অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকারবঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল এক মানবিক সত্ত্বায় পরিণত।মানবিক চেতনা সম্পন্ন সকল মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শেখ রাসেলের জন্মদিনে হারিয়ে যাওয়া এই শিশুটির নিষ্পাপ আদর্শ হবে আমাদের অনুপ্রেরণা।পরবর্তীতে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে এবং মোনাজাত শেষে সকলের নিকট অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে সকলের সমর্থন ও দোয়া কামনা করেন।

 

আলোকিত প্রতিদিন // আতারা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here