ক্রাইম রিপোর্টার
নিষেধাজ্ঞার ১৬তম দিনে গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর সীমান্তবর্তী ইসমানির চর, বলাকী চর, ষোলআনী ও চর ঝাপটার বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদিতে মাছ শিকারের সময় গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন, গজারিয়ায় নৌ-পুলিশ ও উপজেলা মৎস কর্মকর্তার বিশেষ অভিযানে ৫ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল, ১১ জন জেলে ও একটি মাছ ধরার ট্রলার আটক করেছে গজারিয়া নৌপুলিশ।
গজারিয়া নির্বাহী মাজিস্ট্রেট ভূমি সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকাল হতে উপজেলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ৩ জন জেলে ও গজারিয়া নৌ-পুলিশের অভিযানে ৮ জন জেলেকে আটক করা হয়। গজারিয়া নৌ-পুলিশের অফিসার ইঞ্চার্জ মো. আব্দুস সালামের নেতৃত্বে, গজারিয়ার সীমানাধীন মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ৫ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল, ৮ জন জেলে এবং গজারিয়া উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ৩ জনসহ মোট ১১ জন জেলে এবং ১টি মাছ ধরার ব্যবহৃত ট্রলার আটক করতে সক্ষম হয়েছি।১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলা সিমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে, গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন, নৌ- পুলিশের যৌথ অভিযানে ৫ লক্ষ মিটার কারেন্ট জালসহ ১১জন জেলে, এবং মাছ ধরার ব্যবহৃত একটি ট্রলার আটক করা হয়।
আটককৃত ১১জন জেলের মধ্যে ৮ জন জেলেকে সাতদিন করে জেল ও বাকি তিনজনকে বয়স কম হওয়ার কারণে তাদের পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। উদ্ধাকৃত ৫ লক্ষ্ মিটার কারেন্ট জাল গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী মাজিস্ট্রেট ভূমি সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বোরহান উদ্দিন এর উপস্থিতিতে গজারিয়া নৌ-পুলিশের ইঞ্চার্জ মো. আব্দুস সালামের নেতৃত্বে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় ।আটককৃত ট্রলার গজারিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির হেফাজতে রয়েছে।