প্রতিনিধি,মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল করে জোরপূর্বক ইটভাটা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চরগুলগুলিয়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম (৬০), তার দুই ছেলে রুবেল (৩০) ও জাহাঙ্গীর (৩২), আব্দুল মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৫৫), আমজাদ আলীর ছেলে মুজিবুর রহমান (৬৫), জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. ইসলাম (৫০), মৈজুদ্দিনের ছেলে আব্দুল বারেকের বিরুদ্ধে জমি দখলরে অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ আদালতে দেওয়ানী মামলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামসহ ৭জন চর চরগুলগুলিয়া মৌজার আর এস ৩০৮নং খাতিয়ানের ৬০শতাংশ, ৩১৪নং খতিয়ানের ৩০শতাংশ, ১৫৮নং খতিয়ানের ১ একর ৪৪শাতংশ ও ১৯৯নং খতিয়ানের ৪৬শতাংশসহ প্রায় ৩ একর জমি জোরপূর্বক জবর দখল করছে। সেই সম্পত্তিতে বেআইনী ভাবে প্রবেশ করে ইটখোলা নির্মাণ, মাটির স্তুপ করে ইট তৈরি, চোল্লি নির্মাণ ও শ্রমিকদের থাকার ঘর নির্মাণের হুমকি প্রদান করে। পরে গত ৩ অক্টোবর রবিবার সকাল ১০টায় জমির সামনে এসে জমির মালিক আজিজুল ইসলামের বাড়ির সামনে তাকে দাঁড় করিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারধর করার জন্য উদ্দ্যত হলে তার ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন চলে যায়। সে সময় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, আজিজুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করবে এবং সুযোগ মত পাইলে মারপিট করে জীবননাশ করে এলাকা ছাড়া করবে। এছাড়া বাড়ী- ঘর জ্বালিয়ে সর্বহারা করে দিবে বলেও হুমকি প্রদান করে।
ভূক্তভোগী আজিজুল ইসলাম বলেন, ১০ বছর আগে আমরা একটি ইটভাটার কাছে আমাদের জমি ৩ বছরের চুক্তিতে ভাড়া দেই। তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তার চলে যায়। আমরা আমাদের জমি পুনরায় ফসল চাষের উপযোগী করে তুলি। বর্তামেনে সেখানে বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও তার ছেলে জাহাঙ্গির জোর করে দখল করার চেষ্টা করছে। আমাকে ইটভাটার জন্য ভাড়া দিতে চাপ প্রয়োগ করছে। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছে এবং মারধর করতে আসে। এখন আমার জমিতে তারা জোরপূর্বকভাবে ইট ভাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেছি এবং কোর্টে মামলাও করেছি। কোর্ট থেকে সেখানে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু চেয়ারম্যান ও তার ছেলেরা আমার জমিটা গিলে ফেলার চেষ্টা করছে। যে কোন সময় তারা আমার জমিটা জবর দখল করে ফেলবে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যন সাইফুল ইসলাম বলেন, এখানে ২০ বছর ধরে ইটখোলা চলে। আজিজুল মাঝখানে ১০ শতাংশ জায়গা কিনে খোলা বন্ধ করে ফেলতে চায়। এইসব এখানে চলেব না। মানুষের কোটি কোটি সম্পদ সে ১০ শতাংশ জায়গা কিনেই বন্ধ করে দিবে, এটা হবে না। এখানে আজিজুলের কোন জায়গা নেই। আমি সব ভাড়া নিয়ে নিছি। ১২ জন মালিকের থেকে ১২টা প্লট ভাড়া নিছি। কোর্টের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা তাকে ৬২ টা করতে বলেন। মামলা করে যদি কিছু করতে পারে সে যেন করে।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা