প্রতিনিধি,মধুপুর
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের মালাইদ কাউচিবাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে ইয়াসমিন (১৯) নামের এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। কে বা কারা তাকে খুন করেছে তার কোন হদিস পাওয়া যায় নি। তবে ইয়াসমিনের স্বামী নুরুন্নবীকে পুলিশ আটক করেছে।
মেয়ের চাচা জুলহাস উদ্দিন জানান, কুড়াগাছা ইউনিয়নের ধরাটি গ্রামের হাসু মিয়ার ছেলে নুরুন্নবীর সাথে পারিবারিক সমঝোতার মাধ্যমে ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। মেয়ে শ্যামলা ও খাটো থাকায় বিয়ের কিছুদিন পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে নানাভাবে নির্যাতন চালাতো। তাদের সাথে ইয়াসমিনের স্বামী নুরুন্নবীও যুক্ত থাকতো। গত এক বছর পূর্বে ইয়াসমিনের কোল জুড়ে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান হওয়ায় তার এই অশান্তি দূর হয়। তারপর থেকে আর কখনো ঝগড়ার খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বেলা এগারটার দিকে লোকমুখে সংবাদ আসে ইয়াসমিনকে ধরাটি টানপাহাড় এলাকায় জলপাই গাছের নিচে কে বা কারা কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখেছে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত ইয়াসমিনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইয়াসমিনকে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংবাদ পেয়ে মধুপুর-ধনবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শাহীনা আক্তার হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি অবলোকন করেন।
ইয়াসমিনের শ্বাশুড়ী নূরজাহান বেগম জানান, আমাদের সাথে কখনো মনোমালিন্য হয়নি। আমাদের নতুন বাড়িতে কাজ চলছে। আমি সেখানে ছিলাম। ছেলের বউ একাই বাড়িতে ছিলো। কখন কিভাবে কেন এমন ঘটলো, আমরা ভাবতে পারছি না।
অপরদিকে মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেন ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা আব্বাস উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল খুনের রহস্য উদঘাটনে মাঠে নেমেছে। এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক কামাল জনান, খুনের রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ মাঠে রয়েছে। তদন্ত শেষে ফিরে এলে বিস্তারিত জানানো যাবে।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা