প্রতিনিধি ,উলিপুর
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গার গতিয়াশাম এলাকায় তিস্তা নদীর প্রবল ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
ত্রাণ বিতরণকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী ঘুমান না, যতক্ষণ না দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমায়। তিনি প্রতিটি মুহূর্ত দেশের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। তিনি চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বিষয়ে আমার দপ্তরের সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন এবং যখন যা প্রয়োজন তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রী আরো বলেন, তিস্তা নিয়ে ডেল্টা প্লান বাস্তবায়ন হলে তিস্তাপাড়ের মানুষের দুঃখ আর থাকবে না। এছাড়া আরো খুশির খবর হচ্ছে জাইকা কুড়িগ্রামের নদী ভাঙ্গনের শিকার মানুষকে নিয়ে খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করবে।
এসময় বক্তব্যে কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন,রাজারহাটের মানুষ ত্রাণ চায় না। তারা প্রত্যেকে কঠোর পরিশ্রমী। উর্বর তিস্তা পাড়ের মাটিতে এসমস্ত মানুষ ধান, গম, আলু, বাদাম ও পিয়াঁজ চাষাবাদের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এখানকার মানুষ তিস্তার আগ্রাসী ভাঙ্গন থেকে বাঁচতে চায়। তিস্তা নদী শাসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন জরুরি। যতক্ষণ তা বাস্তবায়ন হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত নদী ভাঙ্গা মানুষের ঘরবাড়ি রক্ষায় তাৎক্ষণিক কার্যকরি ব্যবস্থা চাই। তিনি আরো বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অজুহাতে এখানকার নদী শাসনে বরাদ্দকৃত ফেরত যাওয়া ২৫০০ কোটি টাকা ফিরিয়ে আনা হোক এবং সেই অর্থ দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে তাদের ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল সোহরাওর্দী বাপ্পী, কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম প্রমুখ।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা