ধর্ম ডেস্ক
পৃথিবীর সব ধর্মাবলম্বীরাই এ বিষয়ে একমত যে, একদিন আমাদের মরত হবে।মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করত হবে।আর এজন্যই বলা হয়, মৃত্যু জীবনের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী।মৃত্যু যেমন নিশ্চিত— পরকালও তেমনই সন্দেহাতীত। কিয়ামত দিবসে বিচারের ময়দানে একদিন দাঁড়াতে হবে সবাইকে। হিসাব দিতে হবে দুনিয়ার জীবনের। সেখানে কেউ মুক্তি পেয়ে চিরস্থায়ী সুখের ঠিকানা জান্নাতে যাবেন,আবার কেউ অপরাধী হয়ে ভয়াবহ জাহান্নামে যাবে। কিন্তু মহাগ্রন্থ আল কুরআনের বর্ণনায় ৫ শ্রেণির মানুষ এমন আছে, পরকালে তাদের কোনো ধরনের ভয়-শঙ্কা থাকবে না। কঠিন ওই বিচারের ময়দানে তারা থাকবে নিশ্চিন্ত,শান্তমনা।
তারা হলেন—
আখিরাতে বিশ্বাসী
যারা আল্লাহর একত্ববাদ ও পরকালে বিশ্বাসী, হাশরের ময়দানে তাদের কোনো ভয় নেই। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘…যারা আল্লাহ ও আখিরাতের ওপর ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে, তাদের জন্য তাদের রবের কাছে পুরস্কার আছে। তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ৬২)।
নামাজ প্রতিষ্ঠা
যারা নিয়মিত নামাজ কায়েম করে এবং জাকাত দেয়, পরকালে তাদের কোনো ভয় নেই।পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনে, সৎকাজ করে, সালাত কায়েম করে এবং জাকাত দেয়, তাদের প্রতিফল তাদের রবের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৭৭)।
ইসলামী অনুশাসন মান্যকারী
যারা জীবনের সব ক্ষেত্রে ইসলামী বিধি-নিষেধ মেনে চলবে এবং পরিপূর্ণরূপে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করবে, তাদের কোনো ভয় নেই। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘হ্যাঁ, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করে এবং সৎকর্মপরায়ণ হয়, তার প্রতিফল তার রবের কাছে আছে। আর তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১১২)।
সৎপথের অনুসারী
সৎপথের অনুসারীদের কোনো ভয় নেই। বলা হয়েছে, ‘যারা আমার সৎপথের নিদর্শন অনুসরণ করবে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ৩৮)।
খোদাভীরু ব্যক্তি
মুত্তাকি ও খোদাভীরুর পরকালে কোনো ভয় নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং নিজেদের সংশোধন করে নেয় তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ৩৫)।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা