বিশেষ প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে প্রবাস ফেরত এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম শহীদুল ইসলাম (৪০)।
রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে কালিহাতি পৌর এলাকার সালেংকা চর পাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে কালিহাতি থানা থেকে পুলিশ এসে রাত একটায় লাশ উদ্ধার করে। নিহতের প্রতিবেশী ও আত্মীয় সূত্রে জানা যায়- শহীদুল ইসলাম কালিহাতি পৌর এলাকার সালেংকা চর পাড়া গ্রামে আলেফের মেয়ে শিউলি আক্তারকে বিয়ে করে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ শ্বশুর বাড়ি এলাকায় বাড়ি-ঘর করে সেখানেই বসবাস করতো। এখানে শহীদুলের সাথে তার বাবা জাকির হোসেনও থাকেন। এটা ছিলো নিহত শহীদুল ইসলামের দ্বিতীয় বিয়ে এবং তার স্ত্রী শিউলির তৃতীয় বিয়ে। এই তরফে শহীদুলের পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া একটি মেয়ে আছে। নিহত শহীদুলের পৈতৃক বাড়ি উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের পোষণা গ্রামে। পোষণা গ্রামে শহীদুল তার সকল সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছে।
নিহতের প্রতিবেশীরা জানায়- শহীদুলের পরিবারে কখনো অশান্তি বা কলহ দেখতে পাননি তারা। তবে একজন সুস্থ-সবল যুবকের মৃত্যু রহস্যজনক। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। তবে নিহত শহীদুলের আত্মীয় -স্বজনরা তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছে- তার প্রথম স্ত্রীর সন্তান যাতে সম্পত্তির ভাগ না পায় এজন্য শহীদুল তার স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে লিখে দিয়েছেন। নিহতের ফুফাতো ভাই হাজি পলান জানান- কিছুদিন আগে শহীদুলের সাথে উপজেলার এলেঙ্গায় দেখা হলে তাকে পারিবারিক অশান্তির কথা বলেন শহীদুল।
নিহত যুবকের বাবা জাকির হোসেন বলেন- যখন আমি দেখি তখন ওর পায়ের আঙ্গুলের মাথা মাটিতে এবং গোড়ালি উঁচুতে ছিলো। তখন অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরা প্রশ্ন তোলেন- আঙ্গুল মাটিতে থাকলে ফাঁস লাগে কীভাবে? নিহতের স্ত্রী শিউলি বলেন- আমার স্বামীকে যদি কেউ মেরে থাকে তাহলে তার বিচার চাই। আর যদি আত্মহত্যা করে থাকেন তাহলে সেটা আল্লাহ্ দেখেছেন। কালিহাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান এ বিষয়ে বলেন- লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা