প্রতিনিধি,সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় আসাদুজ্জামান ওরফে অসলে একটি আতঙ্কের নাম। মানব পাচার থেকে শুরু করে স্বর্ণ-মুদ্রা এবং অস্ত্র চোরা কারবারীর তালিকায় নাম আছে তার। তার অপকর্মের সহযোগী হিসেবে ছিলেন তার আপন ভাই আতাউর রহমান,চাচাতো ভাই মফিজুল ইসলাম। মফিজুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৩নং বৈকারী ইউনিয়নের বৈকারী গ্রামের প্রয়াত রমজান সরদারের ছেলে। পাশাপাশি আসাদুজ্জামান ওরফে অসলের বিভিন্ন অপকর্মের সহযোগী হিসেবে কাজ করত তার নিজ ছেলে ইনমজামুল হক ইনজা, পালিত ছেলে আব্দুস সালাম, হৃদয় বাবু ওরফে টিকটক বাবুসহ অন্যান্য কতিপয় ব্যক্তিরা। অতীতে যিনি খাস জমিতে দুচালা ঘরবেঁধে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন, তিনি এখন রাতারাতি কোটিপতি। বলা চলে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। আসাদুজ্জামান ওরফে অসলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৩নং বৈকারী ইউনিয়নের বৈকারী গ্রামের
প্রয়াত রুহুল আমিন সরদার ওরফে রয়েল সরদারের ছেলে। প্রসঙ্গত, গত ইংরেজী ১২.১০.২০২১ তারিখে ও ১৯.১০.২০২১ তারিখে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী গ্রামের আসাদুজ্জামান ওরফে অসলের বিরুদ্ধে মানব পাচার, স্বর্ণমুদ্রা ব্যবসার সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত থাকা ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং অস্ত্র চোরা কারবারীর গডফাদার হিসেবে তালিকায় নাম থাকায় সম্প্রতি সময়ে সংবাদটি ঢাকা হতে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকায় দুদফায় প্রকাশিত হয়। সত্য খবর প্রকাশের জের ধরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৩নং বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ওরফে অসলে ক্ষিপ্ত হয়ে কথিত কিছু নামধারী সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলা ও সন্ত্রাসী হামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলে এ দাবী করেন ভুক্তভোগী। সেকারণে সাংবাদিক মো. ইব্রাহিম খলিল জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। জিডি সূত্রে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৩নং বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ওরফে অসলের বিভিন্ন অপকর্ম পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ করায় বর্তমানে আসাদুজ্জামান ওরফে অসলে বিভিন্নভাবে প্রতিবেদককে ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে মর্মে সাংবাদিক মো. ইব্রাহিম খলিল গত ইংরেজী ২২.১০.২০২১ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী
করেন। যার ডায়েরী নং-১২৫৩। এঘটনায় ভুক্তভোগী আইন-আদালতসহ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা
