প্রতিনিধি,সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে প্রতীক বরাদ্দের দিনেই ৩নং বৈকারী ইউপিতে নিজের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আসাদুজ্জান অসলের নির্দেশে নির্বাচনী সহিংসতা ও তাণ্ডবের অভিযোগ উঠেছে। এতে ইনজামামুল হক ইনজা নামে এক ব্যক্তি গণমারপিটের শিকার হয়ে সাতক্ষীরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের প্রতীক বরাদ্দ শেষে ঘোনা বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানে আসাদুজ্জামান অসলে ও তার বাহিনী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওত পেতে থাকে। এতে সাতক্ষীরা থেকে স্বতন্ত্র মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আবু মো. মোস্তফা কামাল ঘোনা বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন নামক স্থানে পৌঁছালে অসলের বাহিনী গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় মোস্তফার কর্মী ,সমর্থক ও স্থানীয় জনতা প্রতিরোধ করলে ঘটনাস্থলে অসলে পুত্র ইনজা আহত হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান অসলের পুত্র ইনজামামুল হক ইনজাসহ শতাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধ হয়ে ঘোনা বিজিবি ক্যাম্পের পাশে রাস্তায় অবস্থান করে। এ সময় স্বতন্ত্র মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. মোস্তফা ঐ একই রাস্তা দিয়ে তার নির্বাচনী বহর নিয়ে বৈকারীতে যাওয়ার সময় আসাদুজ্জামান অসলের পুত্র ইনজামামুল হক ইনজা, হৃদয়, বাবু, কালাম, জামানসহ ৬০ থেকে ৭০ জন তাদের গতিরোধ করে অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। পরবর্তীতে মোস্তফার সমর্থক ও স্থানীয় জনতা পাল্টা হামলা করলে আসাদুজ্জামান অসলের পুত্র ইনজামামুল হক ইনজা আহত হয়। এ বিষয়ে ৩ নং বৈকারীর স্বতন্ত্র মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আবু মোস্তফা কামালের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি ঘোনা বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন নামক স্থানে অসলে ও তার পুত্র ইনজা, হৃদয়সহ তাদের সন্ত্রাসী দলবল একত্রিত হয়ে আমার উপরে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিল। ব্যাপারটি আমি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে ৯৯৯ এ সহযোগিতার জন্য কল করি । তারা আমাকে স্থানীয় থানাকে জানানোর পরামর্শ দেন। আমি সাতক্ষীরার সদর থানার ওসি ও জেলা পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে অবহিত করি। এরপরে ঘোনা বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন নামক স্থানে পৌঁছালে অসলে এবং তার বাহিনী আমার বহরের উপরে অতর্কিত হামলা করে। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
এ বিষয়ে ৩ নং বৈকারী ইউপির নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান অসলের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলে আমার নির্বাচনী পথসভা ছিল। এ নির্বাচনী পথসভায় মোস্তফা ও জালাল আমার লোকজনের উপরে হামলা করে। এতে আমার ছেলেসহ ৫-৭ জন আহত হয়। এ বিষয়ে আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।” এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন এর কাছে জানতে তার মুঠোফোনে আলাপের চেষ্টাকালে তিনি আলাপ কলটি গ্রহণ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলার এডিশনাল এসপি সজিব খানের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, “ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা