মোহাম্মদ জুবাইর
অবশেষে কারাগার থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন জামিনে মুক্তি পেলেন চকবাজার ১৬ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দীন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন জামিন দিয়েছেন তাকে।বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টেবর) বিকাল ৩টা ২০মিনিটের দিকে কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম । সকালে জামিনের কাগজপত্র চতুর্থ যুগ্ম চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে দাখিল করা হয়। জামিন মঞ্জুরের আদেশের পক্ষে টিনুর আইনজীবী আদালতে জামিননামা দাখিল করেন। আদালতের জামিন মঞ্জুরের কপি দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেন।চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘সব মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র পাওয়ার পর যাচাইবাছাই শেষে ওনাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত,(চসিক)১৬নং উপ-নির্বাচনে সাধারণ ভোটারের চেয়ে প্রার্থীসমর্থক বেশি সুষ্ঠভোট গ্রহণে প্রশাসন ছিল সক্রিয়। (চসিক) উপ-নির্বাচন ইতিহাসে আওয়ামী লীগ সমর্থক দলীয় সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর অংশগ্রহণ। ভোটার বান্ধবহীন প্রার্থী ও জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় সবচেয়ে কম ভোটের ইতিহাস গড়লেন ও সুষ্ঠ সংঘর্ষহীন নির্বাচন এটিই প্রথম। যা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হয়েছে। চসিক ইতিহাসে দীর্ঘ ৩৫বছরের সফল বরেণ্য কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু মৃত্যুবরণ করার পর উক্ত ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন উপলক্ষে যাতে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা অনিয়ম-অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে,সেজন্য প্রশাসন ছিল সক্রিয়। নির্বাচনে মোট ২১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে বিএনপি ও স্বতন্ত্র একজন এবং আওয়ামী লীগের ১৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।চকবাজার ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ৪১ জন। পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ২১৬ জন এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ৮২৫ জন। ১৫টি ভোটকেন্দ্রে ৮৬টি ভোটকক্ষ। ভোটগ্রহণের জন্য ১৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৮৬জন সহকারী প্রিসাইডিং ও ১৭২জন পোলিং কর্মকর্তাসহ ২৭৩ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।গত (৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নুর মোস্তফা টিনু ৭৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রউফ পান ৭৭৩ ভোট।চসিকের উপ-নির্বাচন ইতিহাসে সবচেয়ে কম ভোটের বাংলাদেশে এটাই প্রথম। নিকটতম প্রতিদন্দীর মাত্র ১৬ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হলেও এ নিয়ে প্রতি পক্ষের মাঝে যেমন রয়েছে নীতিবাচক প্রশ্ন,তেমনি এলাকাবাসির মধ্যেও মোট ভোটার উপস্থিতি ২১℅ হওয়ায় আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠে। এবং যা কাউন্সিল উপনির্বাচন ইতিহাসেও নজিরবীহীন দৃষ্টান্ত।
