আবু তালহা রায়হান
মাতৃভূমিকে ভালবাসেন না এমন মানুষ পৃথিবীতে নেই বললেও চলে।যে যেখানেই থাকুক না কেন,নিজ দেশের খবর রাখে সবসময়ই।প্রতিটা মানুষই তার মাতৃভূমিকে সবার শীর্ষে দেখতে চায়।মানুষ চায় সে এবং তার মাতৃভূমি হোক বিশ্বসেরা।সেটা খেলাধুলা, শিক্ষা কিংবা অর্থনীতিতে হোক।চলছে টি-২০ বিশ্বকাপ।বিশ্বকাপ মানেই যেন জয়-পরাজয়,আনন্দ- উল্লাসে মেতে ওঠা।বলতে দ্বিধা নেই—ক্রিকেট বিশ্বকাপে দেশপ্রেমের অনন্য বিকাশ ঘটে।এ বিশ্বকাপ ঘিরে ক্রীড়াপ্রেমিদের হৃদয়ে ঘুরাপাক খায় হাজারো স্বপ্ন।সবার-ই মনোবাঞ্ছা থাকে,এবারের বিশ্বকাপে তাদের দেশ জয় পাবে।শিরোপা ঘরে তোলবে।বাঙালি ক্রিকেটপ্রেমিরাও সেই স্বপ্নে আশার আলো দেখছিলেন।বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের টানা তিন সিরিজ জয়ে বিশ্বকাপে ভাল কিছু করবে,এমনটাই আশা করছিলেন সকলে।কিন্তু গ্রুপ পর্বে অখ্যাত স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের সঙ্কট কাটিয়ে উঠলেও সুপার টুয়েলভের শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সহজ ম্যাচে টাইগারদের হারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষিপ্ত হয় সমর্থকরা।তবু হাজারো সমালোচনার ভিড়ে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন জাগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেও বিশাল ব্যবধানে জয় পায় ইংল্যান্ড। ধূসর হয়ে যায় টাইগারদের সেমিফাইনালের স্বপ্ন।হাতাশা ছেয়ে যায় সাকিব,মুশিফক,রিয়াদ বাহিনীর ব্যাটে-বলে।তবু সুযোগ খোঁজে টাইগারপ্রেমিরা।উইন্ডিজদের বিপক্ষে জিতে যেকোনভাবেই যেন তাদের প্রিয় দলটি সেমিফাইনালে ওঠে।অবশ্য সমীকরণ বলেছিল-এ ম্যাচে জয় পেলে বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলার জন্য লড়াইয়ে টিকে থাকবে,আর হারলে স্বপ্ন শেষ। অবশেষে বাঁচা-মরার সেই ম্যাচেও যুদ্ধ করে টিকে থাকতে পারে নি রিয়াদ বাহিনী। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেলে ওয়েস্ট উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ।শুরুতেই ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের তোপ কাটিয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করে উইন্ডিজ দল।জবাবে ১৪৩ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই আউট হন সাকিব,নাঈম।এরপর ১৩ বলে ১৭ করে একাদশে সুযোগ পাওয়া সৌম্য ও ৭ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরেন মুশফিক।লড়াকু ইনিংস খেলে ৪৩ বলে ৪৪ করে ফিরেন লিটনও।শেষ অভারে জিততে প্রয়োজন ৬ বলে ১৩ রান। যুদ্ধ করেন রিয়াদ,আফিফ।শ্বাসরুদ্ধকর সেই যুদ্ধেও সফল হননি তারা।৬ বলে মাত্র ১০ রান তুলে ৩ রানে হারে বাংলাদেশ।শেষ হয়ে যায় সেমির আশা….