প্রতিনিধি, ফরিদপুর
দেশে ভয়াবহ হারে বাড়ছে প্রতারকের সংখ্যা। আর তাদেরই একজন মুস্তাফিজুর রহমান জুয়েল। তার বাড়ী রাজশাহীর মহাদেবপুরে। অনেক দিন ধরেই তিনি তার এলাকা ছাড়া।পারিবার থেকে এবং সমাজের মানুষের থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে টাকা না দিয়ে এবং বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে রাজশাহী থেকে ফেরারি হয়ে অবস্থান নেন ফরিদপুরে।এখনে এসে নিজের নাম পরিবর্তন করেন।এবং অনেকের থেকে কৌশলে ব্যবসার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন।ফরিদপুরে এসে নিজেকে পরিচয় দেন এতিম। তার বাবা-মা নেই,এতিম খানায় মানুষ হয়েছেন। এমন মিথ্যা বলে অনেকের ভালোবাসা জয় করে নিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা।
যখন সকলেই তার অপকর্মের ব্যাপারে জানতে পারেন তখনই এই জুয়েল ফরিদপুর থেকেও গাঁ ঢাকা দেন।এই লোকের বিরুদ্ধে যেই কিছু বলছে এবং যারাই তাকে ফোন করছে তাদেরকেই হুমকি দিচ্ছেন এই প্রতারক ভণ্ড মানসিক রোগী। শুধু হত্যার হুমকিই না, বিভিন্ন ফেক আইডি দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে কথা বলা সকলের পরিবার আত্মীয় স্বজনদেরকেও ফোন দিয়ে মেসেজে দিয়ে উল্টাপাল্টা মিথ্যা বলে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন।এবং খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।এমনকি সবাইকে মেরেফেলার হুমকি দিচ্ছেন।প্রত্যেক পাওনাদারদেরকে ভয় দেখাচ্ছেন। পাওনাদারদের বলছেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাদের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করবে।তার কাছে যেই টাকা চাইবে বা কোন কিছু বলবে তাদের কাওকে ভালো থাকতে দিবেন না।প্রতারক জুয়েল ফরিদপুরে অবস্থান নিয়ে অনেক নিরীহ মেয়েদেরকেও নিজের প্রতারণার জালে জড়িয়ে নিজেকে এতিম পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেন।
এক ভুক্তভোগী কামরুন্নাহার সাংবাদিকদের বলেন, তার দুইটা অটো ছিলো ভাড়া দেওয়া । তাকে ব্যবসার কথা বলে অটো ও গহনা বিক্রি করে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেন।পরবর্তীতে তার কাছে লাভের টাকা চাইলে সে টাকা দিতে নারাজি করেন।তারপরে বিভিন্ন তালবাহানা জোড়া দেন।পরবর্তীতে তার মিথ্যা পরিচয় সম্পর্কে জানলে কামরুন্নাহার তার আসল টাকা ফেরত চান এবং অন্যদের কাছে তার পরিচয় ফাঁস করে দেন।এই টাকা ফেরত চাওয়ায় এবং তার প্রতারণার ব্যাপারে সবাইকে বলে দেওয়ায় ক্ষেপে গিয়ে তার নামে এবং তার পরিবারের নামে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার করে তাদের সন্মানহানি করছেন এবং তাদেরকে ফোন দিয়ে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য একজন মহিলা বলেন, তাকে এতিম পরিচয় দিয়ে এবং ব্যবসার কথা বলে তার থেকে ২ লক্ষ টাকা নেন।তারপর আর ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকি দিচ্ছেন।এমনও আরো অনেকেই সন্মানের ভয়ে কোন কথা বলতে রাজি হন নাই।ফরিদপুর টেপাখোলা বাজারের অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন নিরুদ্দেশ তিনি।তার বিরুদ্ধে অনেকেই আইনের আশ্রয় নেবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।এই প্রতারক রাজশাহী মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত ছিলেন।তার কাজই হচ্ছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে সহজ সরল মানুষকে ঠকিয়ে, অনেক সময় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। ফরিদপুর জেলার অনেককেই সর্বশান্ত করে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন এবং তাকে ফোন দিয়ে টাকা চাইলে জুয়েল তাদেরকে হত্যাসহ নানান ভয়ভীতি দেখান।এই প্রতারক এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী সকলেই।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা
