মোহাম্মদ জুবাইর চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে র্যাব-৭ এর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার হয়েছে। রোববার রাত ১১টায় উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের আবদুস ছত্বর ভূঁইয়া হাট থেকে র্যাব-৭ অভিযান চালিয়ে তাদের অস্ত্র এবং মাদকদ্রব্যসহ আটক করে। আটককৃতরা হলো- জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম কাটাছরা গ্রামের মৃত শফি উল্ল্যার ছেলে নুর উল্লাহ (৪৫) ও তাঁর ছেলে মো. নাইমুল ইসলাম শুভ (২১)। আটক নুর উল্লাহ মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বরত ছিলেন। র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার জাতীয় দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইরকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে মিরসরাইয়ের আবদুস ছত্বর ভূঁইয়া হাটে নুর উল্লাহর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মদিনা ডেকোরেশন ও তার বাড়িতে ৪ ঘণ্টাব্যাপি অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি রিভলবার, একটি ওয়ান শুটার গান, একটি এয়ারগান, ২০১ রাউন্ড গুলি ও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। এ সময় নুর উল্লাহ ও তাঁর ছেলে মো. নাইমুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। র্যাব-৭ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়সহ অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আটককৃতদের কাছ থেকে এসব অস্ত্রের উৎস সম্পর্কে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে জোরারগঞ্জ থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন মামুন জানান, র্যাবের অভিযানে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় আটক জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম কাটাছরা গ্রামের মৃত শফি উল্ল্যার ছেলে নুর উল্লাহ (৪৫) ও তাঁর ছেলে মো. নাইমুল ইসলাম শুভ (২১) নওশাদ মাহমুদ চৌধুরী রানা (৫৩) পিতা- মৃত শামসুল আলম চোং, চান্দগাও জালাল আহমেদ চৌধুরী বাড়ী , চট্টগ্রাম, মেজবাহ উদ্দিন, পিতা মৃত জাকির হোসেন, পশ্চিম দূর্গাপুর, জোরাল গঞ্জ এর নামে মামলা দায়ের করেছে। গোলাবারুদসহ পিতা-পুত্রের আটকের ঘটনার র্যাবের দায়ের করা মামলায় ৩নং আসামি হিসেবে নওশাদ মাহমুদ চৌধুরী রানার নাম এসেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার নুর উল্লাহ র্যাবের কাছে জানিয়েছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তার সাথে একাধিক পক্ষের বিরোধ চলছে। ইতোপূর্বে একটি পক্ষের হামলায় সে গুরুতর ভাবে আহত হয়। এর প্রতিশোধ নিতেই স্থানীয় মেজবাহ উদ্দিনের সহযোগীতায় চট্টগ্রামের কথিত সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা নওশাদ মাহমুদ চৌধুরী প্রকাশ রানার কাছ থেকে এসব অস্ত্র গোলাবারুদ সংগ্রহ করা হয়েছে।