সারিয়াকান্দির চরাঞ্চল  পরিদর্শনে  ইউএনও 

0
448

মাইনুল হাসান মজনু

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চল সবুজের সমারোহে ভরে ওঠেছে। ফসলে ছেয়ে গেছে চরের দিগন্ত জোড়া মাঠ। এবার চরাঞ্চলের মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্যগুলো পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দির চালুয়াবাড়ী, কাজলা, কর্ণিবাড়ী, চন্দনবাইশা ও বোহাইল ইউনিয়নের সম্পূর্ণ অংশে যমুনা নদী প্রবাহিত। নদীর আঁকেবাঁকে গড়ে ওঠেছে চোখ জোড়ানো  চরাভূমি। এরকম চর রয়েছে প্রায় ৯০ টি। এছাড়াও হাটশেরপুর, সারিয়াকান্দি সদর ও কামালপুর ইউনিয়নের আংশিক  এলাকা যমুনা নদীর চরাঞ্চল হিসেবে পরিচিত। এসব চরের উল্লেখযোগ্য হল চরদলিকা, ফাজিলপুর, মানিকদাইড়,পৌতিবাড়ি, হাটবাড়ী, শিমুলতাইড়, বেনিপুর, কাজলা, কর্ণিবাড়ি, হাটশেরপুর, নান্দিনার চর শঙ্করপুর,ধারাবর্ষা, চরমাঝিরা, কেষ্টিয়ার চর ও বাটিরচর। বন্যা পরবর্তী এখানকার চাষীরা চরের জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করেছেন। মাসদেড়েক আগে যে চরে ছিল যমুনা নদীর অথৈ পানি, আজ  সেখানে চাষ করা হয়েছে হরেক রকমের ফসল। মনে হচ্ছে এমন কোন ফসল নেই যা চরের কৃষকরা এখানে চাষ করে নি।উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এপর্যন্ত চাষ করা হয়েছে উঁচু-নিঁচু জমিতে স্থানীয় জাতের গাইঞ্জা ধান ২ হাজার ৭শ’  হেক্টর, মরিচ ৩ হাজার ৪৭০, গোল আলু ১২ ,সরিষা ৪৫, চীনা বাদাম ২৩৫, পেঁয়াজ কন্দ ১৫, গম ৫, ভুট্টা ৩১৫, মিষ্টি আলু ৪০, খেঁরাছি ৫, মসুর ডাল ১৪০, খেসারী কালাই ২৫, রসুন ১৬, ধনিয়া পাতা ১৩, তিল ১০,কালোজিরা ১, কেসর আলু ৫, মুলা ১৫, নেপিয়ার ঘাস ১০ ও অন্যান্য ফসল ৪০ হেক্টর।

কাজলা ইউনিয়নের ময়ূরের চরের কৃষক মোখলেছুর রহমান বলেন, আমি সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ বিঘা চরের জমিতে বিভিন্ন ফসলাদি চাষ করেছি।ফসলে এখন পর্যন্ত কোন রোগ বালাই লাগেনি। সবরকমের ফসলের জমিতে তরতর করে বেড়ে ওঠেছে গাছ গুলো। ফসলের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে চরে এবার ফসল ভালো হবে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল হালিম বলেন, এবার যমুনা নদীতে কোন ভয়াবহ বন্যা হয়নি। যে পরিমাণ পানি এসেছে তাতে ছিল উর্বর পলি যুক্ত কাদামাটি।চরের জমিতে এই পলিমাটি পড়ায় জমির উর্বরতা শক্তি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চরের পরিশ্রমী চাষিরা জমির সেই উর্বরতাকে কাজে লাগিয়ে ইঞ্চি পরিমাণ জমিও অনাবাদি রাখতে নারাজ। আমরা আশা করছি চরের চাষিরা সব রকমের চাষাবাদে ভালো ফলন পাবেন।

 

আলোকিত প্রতিদিন // আতারা

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here