তিস্তার গর্ভে ইউপি আ’লীগ সভাপতির বাড়ি

0
421

প্রতিনিধি,উলিপুর

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ১ নং থেতরাই  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জনাব আব্দুল জলিল শেখের  বাড়ি  তিস্তার গর্ভে বিলীন। বুধবার ( আনুমানিক ) রাত ৩টার দিকে  তিস্তার পার ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় তার বাড়ি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল জলিল শেখ বলেন ,প্রতিদিনের ন্যায় রাত্রে বিছানায় ঘুমাতে যাই। হঠাৎ তিস্তার তীব্র স্রোতে আমার ঘরের পিছনের অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার শব্দ শুনতে পাই। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার থাকার ঘরের একাংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। তারপর আমার বাড়িতে থাকা জিনিস পত্র তাৎক্ষণিক অন্যের বাড়িতে সরিয়ে রাখা হয়। তিনি বলেন, আমি নদী ভাঙ্গন রোধের জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এলাকার জনগণ এবং আমার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট একটাই দাবি, আমাদের শেখের খামার গ্রাম এলাকাসহ অন্যান্য নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধের স্থায়ী সংস্কার চাই। তিনি আরও বলেন, আমার বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে ,আমার মনে তেমন কষ্ট নেই।  কিন্তু আমার মত যেন সাধারণ জনগণের কষ্টের তৈরি করা বসতভিটে নদী গর্ভে বিলীন না হয়।তিস্তা পাড়ের জনসাধারণ, আব্দুল মালেক, রহিতন বেওয়া, তৈয়ব আলী, সিদ্দিকুল ইসলাম, সুভ মিয়া, সফিউল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম, নুরনবী মিয়া, বাবলু মিয়া, কাশেম আলী, বদরুল ইসলাম ও হাসেন আলীসহ আরো অনেকে কান্নায় জর্জরিত হয়ে বলেন, আমারা বসভিটে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমদের দেখার কেউ নেই। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন করি, তিনি যেন আমাদের তিস্তার তীব্র ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেন।

 দলদলিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক  রাকিবুল হাসান  বলেন, ভিটে-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেলে তার আর কিছুই থাকে না। তাদের কষ্টের সীমা নেই। তিনি বলেন, আমরা দলমত নির্বিচারে তাদের পাশে দাঁড়াব। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন জানান, যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিস্তার তীব্র স্রোতের ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তিস্তার তীব্র স্রোতে ভাঙ্গনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার কাছে  বুধবার  সকালে ভাঙ্গনের খবর এসেছে। আমি পাকার মাথায় লোক পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি দ সরেজমিনে দেখার জন্য যাব।  ৪০০০ জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ শুরু করব। যেখানে কাজ শুরু করলে ভাঙ্গন কিছুটা বন্ধ করা যাবে সেখান থেকেই কাজ শুরু হবে।

আলোকিত প্রতিদিন // আতারা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here