প্রতিনিধি,কচুয়া
চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত দপ্তরিদের হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী কর্মঘণ্টা নির্ধারণ ও ছুটি প্রাপ্তির প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জনাব অঞ্জনা খান মজলিস, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মো.সাহাবুদ্দিন ও কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব দীপায়ন দাস শুভ এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব এ এইচ এম শাহরিয়ার রসুল এর নিকট কচুয়া উপজেলা দপ্তরি কাম প্রহরী কল্যাণ সমিতির পক্ষ স্বারকলিপি প্রদান করেন। কর্মরত দপ্তরিরা স্বারকলিপিতে উল্লেখ করেন যে,আমাদেরকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০০৮ ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১২সালের আউটসোর্সিং নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ প্রাপ্ত করার পর আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথ ভাবে পালন করে আসছি। ২০১২ সালের আউটসোর্সিং নীতিমালা অনুচ্ছেদ ১১/১ মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারীদের সরকারি ছুটি প্রাপ্যতার কথা থাকলে ও আমরা এ পর্যন্ত কোন ছুটি ভোগ করতে পারিনি। শুক্রবারসহ সকল সরকারি ছুটির দিন এমনকি আমাদের নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসবের দিনেও হাজিরা খাতায় আমাদের স্বাক্ষর করতে হয়। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রীট পিটিশন যার নং-১৭০৮৩/২০১৭ দপ্তরী কাম প্রহরীদের দায়িত্ব স্কুল সময় থাকলে ও মাঠ পর্যায়ে দিনে এবং রাতে ও ডিউটি করাচ্ছেন। এই মর্মে ২৪ ঘণ্টা ডিউটির কারণে আমরা মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দায়ের করি।যার জবাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দপ্তরী কাম প্রহরীদের ডিউটি ২৪ ঘণ্টা না,স্কুল সময় বলে উল্লেখ করেন মহামান্য হাইকোর্ট।কিন্তু মাঠ পর্যায়ের এর বাস্তবায়ন কোন উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস গ্রহণ করছেন না।
তাই হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী কর্মঘণ্টা ও ছুটি প্রাপ্তি নির্ধারণের জন্য কচুয়ার কর্মরত দপ্তরি কর্তৃক জেলা,উপজেলা পর্যায়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন কচুয়া উপজেলা দপ্তরিকাম প্রহরী সমিতির সম্মানিত সভাপতি মো.মানিক হোসেন,মো. আবু ইউসুফ,মো.মানিক,মো.মাসুদ, উৎপল,মো.শান্ত,মো.ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা
