কাঠালিয়ায় খালে বিষ প্রয়োগ : ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবার

0
378

প্রতিনিধি,কাঠালিয়া

ঝালকাঠির কাঠালিয়া আওরাবুনিয়ার জাঙ্গলিয়া গ্রামে পান্নি বাড়ির খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধারায় খালের পানি পান করে শতাধিক পরিবারের হাঁস,মোরগ গরু, ছাগল অসুস্থ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর  রাতে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের পান্নি নদীর তিরে বসবাস করা পরিবারের হাঁস, মুরগি ,গরু, ছাগল বিষ প্রয়োগকৃত খালের পানি পান করে  অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী  বলেন, ঐদিন আওরাবুনিয়া গ্রামের মজিদ খানের ছেলে বশির ( পেশাদার জেলে )  রাত আনুমানিক ৯ টার সময় ব্যাগে কিছু নিয়ে পান্নি খালের পাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় । দেখতে পেয়ে স্থানীয় চৌকিদারের সহায়তায় সবুজ সিকদার ব্যাগটি চেক করে। ব্যাগে  বিষের বোতল দেখতে পায় সবুজ সিকদার।  তার কাছ থেকে স্থানীয়রা  চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়ে ছেড়ে দেয়। পরের দিন সকালে খালের আশেপাশের বসবাস করা লোকজন দেখতে পায়, জাঙ্গালিয়া পান্নি খালে মাছ মরে ভেসে ওঠছে। সেখানে  গ্রামের লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে জাহিদ হাওলাদার ও আওরাবুনিয়া গ্রামের কালাম জোমাদ্দারের ছেলে সুমন জোমাদ্দার এবং অভিযুক্ত বশির নৌকা ও জাল দিয়ে মাছ ধরে।পরে মাছগুলো বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যায়। এই বিষয় স্থানীয় চৌকিদার মো. খলিল বলেন, আমি বিষয়টি আওরাবুনিয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিঠু সিকদার, কাঠালিয়া থানা আফিসার ইনর্চাজ পুলক চন্দ্র রায় ও কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুফল চন্দ্র স্যারকে জানিয়েছি।

অভিযুক্ত বশির বলেন, আমি মাছ ধরে সংসার চালাই । তবে আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। অপর দুইজন জাহিদ ও সুমন বাড়িতে না থাকায় তাদের  কোন বক্তাব্য পাওয়া যায় নি।এই বিষয়ে আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিঠু সিকদার বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি ।তবে যাদের নাম বলা হয়েছে তা সঠিক কিনা বা করা জড়িত তাদের বিষয় খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দোষিদের বিষয়ে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, আমাকে চৌকিদারসহ একধিক ব্যক্তি ফোনে জানিয়েছেন। কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

 

আলোকিত প্রতিদিন // আতারা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here