বিশেষ প্রতিনিধি
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশের মতো টাঙ্গাইলেও শুক্রবার সকাল থেকে গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ করে গণপরিবহণ বন্ধ হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। ডিজেলসহ জ্বালানি তেলের লিটার প্রতি ১৫ টাকা করে মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহণ মালিকরা শুক্রবার সকাল থেকে গণপরিবহণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিবহণ ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বাইপাসগুলোতে যাত্রীরা ভীড় করে দাঁড়িয়ে আছেন পরিবহণের আশায়। আধঘণ্টা- একঘণ্টা পর পর উত্তর বঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা দু’একটা লোকাল বাসের দেখা মিললেও তাতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। কেউ কেউ দুই- তিনগুণ বেশি ভাড়া গুণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে বাসে রওনা দিয়ে চান্দরা পর্যন্ত পৌঁছতে পারছেন। অনেকেই বাস না পেয়ে ছুটে যাচ্ছেন রেল স্টেশনের দিকে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থাকায় সেখানেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত টিকেট । মন খারাপ করে তারা চলে যাচ্ছেন বাড়ির দিকে। টাঙ্গাইলের গণপরিবহণ শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়- তারাও পরিবহণ মালিকদের দাবীর সাথে একমত ।তারা জানান- জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে যাত্রীদের কাছে ওই হারে ভাড়া বেশি চাইলে তারা দিবে না। ফলে চলন্ত পরিবহণে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে।
নগর জলফৈ বাইপাসে শিশুসন্তান কোলে নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষারত একজন নারী যাত্রী বলেন- হঠাৎ করে বাস বন্ধ হওয়ায় খুব ঝামেলা হয়েছে। আগে থেকে জানলে তিনি আসতেন না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বাস না পেলে তিনি বাড়ি ফিরে যাবেন। বাসের জন্য অপেক্ষারত আরেকজন যাত্রী শফিকুল ইসলামের সাথে কথা হয়।তিনি ঢাকা তিতুমীর কলেজে একটা চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার্থী। শফিকুল ইসলাম বলেন- আজকে ঢাকায় কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা। হঠাৎ করে গণপরিবহণ বন্ধ হওয়ায় সে হতভম্ব। কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিমবা ভেঙে ভেঙে ঢাকা গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে ফিরে আসা প্রায় অসম্ভব। তিনি কি করবেন এখন বুঝতে পারছে না।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে রাস্তায় চলছে না ট্রাক, পিক আপ ভ্যানও। এর প্রভাব পড়ছে শহরের কাঁচা বাজারগুলোতে।শহরের পার্ক বাজার ও বটতলা বাজার ঘুরে দেখা যায়- প্রতিটি সবজি গতকালের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজিতে। ক্রেতারা বলেন- করোনার বিরুপ পরিস্থিতিতে হঠাৎ দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে তারা কুলিয়ে উঠতে পারছেন না।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা
