কাঠালিয়ায় থামছে না অবৈধ বালু উত্তোলন

0
285

ইলিয়াস হোসেন

সরকারি নিষেধ উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া খেয়াঘাটে বিষখালী নদীর তীরে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হওয়া পাখির অবায়রৈন্য কেন্দ্র  ছৈলারচর থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এতে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নদীর তীরের মানুষের বসবাসের,   তেমনি বালু উত্তোলনের কারণে  বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আতংক রয়েছে এলাকাবাসীর। প্রতিদিন চর থেকে বালু উত্তোলন করার কারণে  উপজেলা প্রসাশন ঘোষিত প্রাকৃতিক ভাসমান পাখির অবায়রৈন্য ছৈলার চর দিন দিন ভেঙে যাচ্ছে। রাতে নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলে রুস্তুম, বারেক, ও জসিম বলেন- আমরা রাতে মাছ ধরি প্রতিদিন। মধ্যরাতে এই চরের পাশে প্রায়ই বালু উত্তোলন করতে দেখি। তবে কে বা কারা বালু উত্তোলন করে তাদের আমরা  চিনি না।

এ বিষয় শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হোসেন রিপন বলেন, আল্লাহর রহমাতে আমার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড শৌলজালিয়া বেতাগি খেয়াঘাটে প্রাকৃতিক ভাসমান ছৈলারচর তৈরি হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন প্রজাতি হাজার হাজার পাখির বসবাস। প্রতিদিন এই সৌন্দর্য দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে  ছুটে আসে মানুষ। ২০২০ সনে উক্ত চরকে উপজেলা প্রসাশনের সহায়তায় পাখির অভয়ারণ্য ষোষণা করা হয়। যেখানে পাখি যত্নে তৈরি করা হয়েছে পাখি বসবাসের স্থান। তাই এই চর রক্ষায় কোন  প্রকার অপশক্তির সাথে আপস করা হবে না।

কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এমাদুল হক মনির বলেন, কাঠালিয়ায় ভাসমান দুটি ছৈলারচর হয়েছে । ইতোপূর্বে হেতালবুনিয়া ছৈলারচরকে ভাসমান পর্যাটন কেন্দ্র হিসাবে তৈরি করা হয়েছে। আর শৌলজালিয়া খেয়াঘাটে যে চরটি হয়েছে সেটাকে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। সেটা উন্নয়নের জন্য ইতিপুর্বে কাজ শুরু হয়েছে। তাই যারা রাতের আধারে বালু উত্তলন করে তাদের উপজেলা পরিষদ থেকে ছাড়া দেয়ার সুযোগ নেই। কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী আফিসার সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, আমি অবৈধ বালু উত্তোলনের খরব শুনে গতো ২২ অক্টোবর রাতে শৌলজালিয়া খেয়াঘাটে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া ছৈলারচরকে আমরা পাখির অভয়ারণ্য হিসাবে নির্ধারণ করি। সেখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে গভীর রাতে বরগুনা জেলার বেতাগি উপজেলার বদনিখালী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কবির হোসেনকে ৪ টি বালুভর্তি জাহাজসহ আটক করি। পরের দিন তাকে মোবাইল কোর্টে ১ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। আমি অবৈধ বালু উত্তলনের সংবাদ পাই কিন্তু ট্রলার যোগে যেতে যেতে তারা পালিয়ে যায়। আমার উপজেলা প্রসাশনের স্পিড বোড বিকল থাকায় দ্রুত যাওয়া সম্ভব হয় না। তাই তাদের আটক করতে পারছি না। তারপরও তাদের অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যবস্থা জন্য আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আলোকিত প্রতিদিন // আতারা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here