ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামির জামিনে মুক্তি : বাদীকে ফাঁসাতে আগুনের নাটক

0
299

প্রতিনিধি,শরিয়তপুর

শরীয়তপুরে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদীর পরিবারকে ফাঁসাতে নিজ লাকড়ি ঘরে আগুন দিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে  মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত শরীয়তপুরের বিচারক আব্দুস সালাম ৬ বছরের শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলায় আবুল হোসেনকে জামিন দেন।এর আগে  ৮ সেপ্টেম্বর  ধর্ষণচেষ্টা ঘটনার পর থেকে আবুল হোসেন পালাতক ছিল।

ঐ শিশুর মা মামলার বাদী অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর আমি ন্যায় বিচারের আশায় মামলা দায়ের করলে আবুল হোসেন এলাকার প্রভাবশালীদের দিয়ে বিভিন্নভাবে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছিল। গত বৃহস্পতিবার আবুল হোসেন জামিন পেয়ে রাতে নিজেরা তাদের লাকড়ি ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের ফাঁসানোর জন্য থানায় গিয়েছিল মামলা করতে। কিন্তু পুলিশ এসে ঘটনার সত্যতা না পেলে আর মামলা করতে পারেনি। এখন আবুল হোসেন বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করতেছে নিজেরা নিজেরা এক জায়গায় বসে মিমাংশা করে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য। আমার স্বামী প্রবাসী, শ্বশুর-শাশুড়ির বয়স বেশি, তারা অসুস্থ। আমি সঠিক বিচার চাই, জজ সাহেব কেমনে জামিন দিয়েছে আমি জানি না, নারী শিশু নির্যাতন মামলায় জামিন দেয় কী করে?

এবিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পিপি এ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ বলেন, জজ সাহেব মার্ডার মামলার জামিনও দিতে পারেন কিন্তু এই মামলার জামিন দিয়ে উনি ঠিক করেন নি।এবিষয়ে কথা বলার জন্য সদর উপজেলার চিতলীয়া ইউনিয়নের দড়ি হাওলা গ্রামের নান্নু আকনের ছেলে আবুল হোসেনের বাড়ি গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার কাকা বলেন, মধ্যরাতে আগুন দেখে আমরা ঘর থেকে বের হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি, শুনেছি আবুল মামলা করার জন্য থানায় গিয়েছিল, কিন্তু পুলিশ মামলা নেয় নাই।
এবিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেন মুঠোফোনে জানান, আগুনের ঘটনাস্থলে আমার পুলিশ গিয়েছিল, বিষয়টি মিথ্যা হওয়ায় মামলা হয়নি।

উল্লেখ্য ধর্ষণচেষ্টা ঘটনার পরে দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় বিষয়টি আসলে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল শরীয়তপুরে। আলোচিত সেই মামলার আসামিরর জামিনে মুক্তি ও তার পরবর্তী ঘটনায় নির্বাক সুধীসমাজ ও সাধারণ নাগরিকরা।

আলোকিত প্রতিদিন // আতারা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here