সবুজ সরকার
কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভা এলাকায় এলেঙ্গা মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পরামর্শ কেন্দ্রে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূয়াপুর উপজেলা ঘাটান্দি গ্রামের খন্দকার রফিকুল ইসলামের ছেলে ভুক্তভোগী খন্দকার মিজানুর রহমান। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এলেঙ্গায় সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান লিখিত অভিযোগে বলেন, গত ২২ এপ্রিল হতে ১২ মে পর্যন্ত এলেঙ্গা মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পরামর্শ কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলাম। এমতাবস্থায় ভিতরের কিছু অশ্লীল অসংলগ্ন কার্যকলাপ যেমন রোগীদের বলাৎকার করা, মারধর করা, রোগীদেরকে জিম্মি করে মহিলা গার্ডিয়ানদের কু-প্রস্তাব দেওয়া,রোগীদের দিয়ে সারারাত্রি ম্যাসাজ নেওয়া, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা;এই সমস্ত পরিবেশ দেখে আমি চিকিৎসা শেষ না করে চলে যাই। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের একজনের সাথে যোগাযোগ করি। সে আমাকে সেন্টারের পরিচালক জয়নাল আবেদীন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রদান করে।
এলেঙ্গা মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পরামর্শ কেন্দ্রের পরিচালক জয়নাল আবেদীন এবং প্রতিষ্ঠান স্টাফ মো. সৌরভ পিতা আবুল কাশেম জানতে পারে যে আমার কাছে সেন্টার পরিপন্থী কিছু ডকুমেন্ট আছে।পরবর্তীতে সে সেন্টারে রোগী ভর্তি করার জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করে যার পরিপ্রেক্ষিতে গত নভেম্বরের দুই তারিখে আমি আমার এলাকার ভাতিজাকে ভর্তির ব্যাপারে আলোচনার জন্য সেন্টারে আসি।
তখন তারা চিকিৎসার ব্যাপারে কথা না বলে আমাকে ভিতরের রুমে ডেকে নেয় এবং সেন্টারের স্টাফ গোপাল ও সৌরভ আমার কাছে ডকুমেন্ট চেয়ে অতর্কিত হামলা করে। পর্যায়ক্রমে জয়নাল আবেদীনসহ কয়েকজন মিলে আমাকে মারতে মারতে উলঙ্গ করে ফেলে এবং আমার কাছে থাকা নগদ ৬৯ হাজার ৫৬০ টাকা কেড়ে নেয়। অনেক চেষ্টা করার পর আমার কাছে ডকুমেন্ট না পেয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাহির করে দেয়।আমি আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হই এবং এ ব্যাপারে রোববার কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমি আপনাদের কাছে সুবিচার কামনা করছি।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা