শ্রীনগরে নির্বাচনী সহিংসতায় দফায় দফায় হামলা : আহত ২৮

0
468

প্রতিনিধি, শ্রীনগর 

শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার ঘটনায় নৌকা প্রতীকের ১৮ জন ও চশমার ১০ জন কর্মী সমর্থক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার ষোলঘর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এই হামলার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করতে দেখা যায়।সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে ষোলঘর ইউপি চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী আলহাজ আজিজুল ইসলামের নতুন বাড়ির সামনে ও ছনবাড়িতে নৌকার প্রচারণায় বাধা প্রদান করে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন সেন্টুর সমর্থকরা। এ সময় দুইদফায় হামলার শিকার হন অমিত (২৫) ও সাগর (২৮) নামে ২ নৌকার সমর্থক।  জুয়েল, নাজমুল, সবুজ, কাউসার, আলমসহ নৌকার কর্মীরা বলেন, নৌকার নারী কর্মীদের গালিগালাজ করে চশমার কর্মীরা। আমরা প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। জানা যায়, দুপুর দুইটার দিকে ইউনিয়নের কেয়টখালীতে তৃতীয় দফায় হামলার শিকার হন নৌকা প্রতীকের সমর্থক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলতান আহমেদ (৪০)। এছাড়াও বিকাল পৌনে ৪ টার দিকে চতুর্থ দফায় হামলার ঘটনা ঘটে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ভূঁইচিত্র কবরস্থনের সামনে। এ সময় স্বপন (৩৫), সিয়াম (২৫), সবুজ মাতবর (৩৭), মামুন (৩৫), রফিক (৪০), সাহাবুদ্দিনসহ (২৫) মোট ১৫ জন নৌকার সমর্থক আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে শ্রীনগর থানা পুলিশ ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন সেন্টুর সমর্থকরা পাল্টা অভিযোগ করেন- নৌকার সমর্থকরা চশমা মার্কার প্রচারণায় হামলা চালায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী সেন্টুর বড় ভাই কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক নেতা মো. জাকির হোসেন বলেন, নৌকার সমর্থকরা আমাদের চশমা মার্কার প্রচারণায় বাধা প্রদান করে ও হামলা চালিয়ে ১০ কর্মীকে আহত করে।এছাড়াও এবং ১০/১২টি মোটরসাইকেল আটক করে রাখার অভিযোগ করেন তিনি।নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বহিরাগত লোকজন নিয়ে আমার কর্মী-সমর্থকের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায়। এতে প্রায় আমার ১৮ কর্মী আহত হন। তারা চিকিৎসাধীন।শ্রীনগর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, দুপুরের হামলার ঘটনায় আমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ সরেজমিনে গিয়ে মিমাংসা করে দিয়ে আসি। মিমাংসার পরে বিকালের দিকে নৌকা প্রতীকের প্রচারণায় গেলে ওরা হামলার শিকার হয়। এখনো কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণব কুমার ঘোষ জানান, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। প্রার্থী বা কেউ যদি অভিযোগ করে আমাদের  নির্বাচন কমিশনের কাছে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে আমরা জেলাতে জানিয়েছি। থানাতে এজাহার হলে থানা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে। এই ইউনিয়নটিতে যেহুতু সমস্যা বেশী হচ্ছে আমার টহল ও নজর বেশী থাকবে।

আলোকিত প্রতিদিন // আতারা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here