প্রতিনিধি,দিনাজপুর
দিনাজপুর শহরের ৫নং উপশহর এলাকার মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. শাহীন আলমের ব্যবসায়িক প্রলোভনের খপ্পরে পড়ে ইতোমধ্যে অনেকেই সর্বস্বান্ত।আবার কেউ তার প্রতারণায় সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে বলে অভিযোগে জানা যায়।
মো. শাহীন আলমের চৌকস প্রতারণার ফাঁদে সর্বস্বান্ত হওয়ার উপক্রম এমনই একজন দিনাজপুর সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়নের উওর গোসাইপুর গ্রামের বর্তমান শহরের ঘাসিপাড়া এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে মো. সৈয়দ আলী।মো. শাহীন আলমের সাথে ব্যবসায়িক সফলতা পাবার আশায় এবং চালের বকেয়া অর্থ ফেরত পেতে সুমন চন্দ্র বসাকের কাছে তার ভাইয়ের বিক্রিত মুড়ির মিল ও পিকআপটি ক্রয় করে নিয়ে মো. সৈয়দ আলী মুড়ি উৎপাদনের ব্যবসা শুরু করে । মুড়ি উৎপাদন শুরু হওয়ার পর থেকে শাহীনের যেন বিনা তেল-মবিলে আবার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে। কিন্তু খোকলা হতে থাকে সৈয়দ আলমের পুজিঁ।বিভিন্ন এলাকার পাইকারী মুড়ি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সরবরাহকৃত মুড়ির টাকা আদায় এবং মুড়ি উৎপাদনে সৈয়দ আলীর সরবরাহকৃত চালের টাকা বকেয়া ফেলে প্রায় ২৩লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার গোপন তথ্যসহ তার ভাইকে ৪২লক্ষ টাকা দিয়ে বাহাদুর বাজারে তিনটি দোকান ক্রয় করে দেওয়ার একাধিক তথ্য বেরিয়ে আসায় মো. সৈয়দ আলী এর জবাব চাইতে গেলে প্রকাশ পায় শাহীনের সুন্দর চেহারার অন্তরালে লুকিয়ে থাকা বিভৎস্য চেহারা।শুরু হয় শাহীনের যত সব নাটকীয়তা ও সৈয়দ আলীর টাকা ফেরত না দেওয়ার বিভিন্ন কৌশল ও ভয়ভীতি।
এক পর্যায়ে মিলটি শাহীন আলম নিজের দখলে নিয়ে মুড়ি উৎপাদন করে একাই মুড়ি উৎপাদনের সব টাকা আত্মসাৎ করতে থাকে।পরে সৈয়দ আলী তার জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে ১নভেম্বর দিনাজপুর কোতয়ালি থানায় একটি জিডি করেন। যার জিডি নাম্বার ৭৭।গত ৮ নভেম্বর শাহীন আলম পুনরায় উপশহরের এক পাইকারি মুড়ি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সৈয়দ আলীর মুড়ির মিলের টাকা বাবদ ১৭হাজার টাকা নিয়ে আসে। সৈয়দ আলী এর প্রতিবাদ করলে শাহীন আলমসহ তার পরিবারবর্গ ও কতিপয় সন্ত্রাসী মিলে তার মিলটি ধ্বংস করার চেষ্টায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এবং ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সৈয়দ আলীর উপর।পরে সৈয়দ আলী নিরুপায় হয়ে শাহীন আলম,তার ভাই রমজান আলমসহ ৫জনের বিরুদ্ধে ৮নভেম্বর দিনাজপুর কোতয়ালি থানায় পুনরায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।শাহীন আলম প্রথমে সুকৌশলে তার মুড়ি উৎপাদনের মেধাকে পুজিঁ করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে কাছে টেনে কয়েকদিন যেতে না যেতেই তার স্বার্থ হাসিল হয়ে গেলেই পরে নিজেকে একসময়ের কথিত শীর্ষ সন্ত্রাসী আরমান বিশ্বাসের মামা বলে জাহির করে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ব্যবসা থেকে তাদেরকে বিতাড়িত করেন।যার দৃষ্টান্ত- ময়মনসিংহ জেলার সিরতা এলাকার মৃত নারায়ন চন্দ্র বসাকের ছেলে সুমন চন্দ্র বসাক ও দিনাজপুর শহরের ৫নং উপশহর এলাকার মৃত আব্দুল বাসেদ এর ছেলে মো. আরিফ হোসেন ও তার খপ্পরে পড়ে সর্বসআবন্ত হয়ে গিয়েছে। শাহীন-এর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান ভুক্তভোগী পরিবারবর্গ।যেন ভবিষ্যতে আর কোন ব্যবসায়ী সরল বিশ্বাসে তার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত না হয়।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা