ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি পেলেন ডিমলার কৃষকরা

0
272

প্রতিনিধি, নীলফামারী

কৃষি যন্ত্রপাতি উন্নয়ন সহায়তা, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সেলের আওতায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দুই কৃষককে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন।মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(অতি.) মাহবুব হাসানসহ কৃষি কর্মকর্তারা তাদের হাতে এসব বুঝিয়ে দেন। টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের  কৃষক নুপুর আকতার একটি রিপার যন্ত্র ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের  কৃষক ফরিদুল ইসলামকে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার বুঝিয়ে দেওয়া হয়।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শহীদুল ইসলাম, উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী  জানান, চলতি আমন মৌসুমে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই করার জন্য সরকারের ভর্তুকিতে দুই কৃষককে এসব যন্ত্র দেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের বাজার মূল্য ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।আর কৃষক দিয়েছেন ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। রিপার বাজার মূল্য ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে ৯০ হাজার টাকা। কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের উপকারিতা প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রতি একর কৃষি জমিতে ধান কেটে ঘরে আনতে ১৭ জন শ্রমিকের প্রয়োজন। কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে মাত্র দুই ঘণ্টায় এক একর জমির ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়া এবং বস্তাবন্দি করা সম্ভব। আর রিপার দিয়ে ঘণ্টায় এক একর জমির ধান কাটা সম্ভব। এর ফলে কৃষকের সময় এবং অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে। কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে।

উপকারভোগী কৃষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমি কম্বাইন্ড হারভেস্টার  মেশিন নিয়েছি। এ যন্ত্র দিয়ে নিজের জমির পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের ধান কাটা,মাড়াই যাবে। যেখানে একজন কৃষকের ১০০শতক জমির ধান কাটতে খরচ হতো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা, সেখানে মেশিনের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকায় ১ একর জমির ধান কাটা যাবে। সরকারের এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা বাড়তি আয় পাবো।এ মেশিনের সাহায্যে অতি অল্পসময়ে ধান ঘরে তোলা সম্ভব। জনবলের জন্য অনেক সময় ফসল ঘরে তুলতে দেরি হয়। অধিক খরচের কারণে লাভ কমে যায়, অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতিও হয়। উন্নত যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে কৃষি লাভজনক ব্যবসা হবে।এর আগে ভর্তুকির জন্য কৃষকের তালিকা চুড়ান্ত করে উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন ও বাস্তবায়ন কমিটি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(অতি.) মাহবুব হোসেন বলেন,জানিয়েছেন, কৃষি শ্রমিকের অভাব, শ্রমিকের উচ্চ মূল্য, কৃষিতে মানুষকে অনাগ্রহী করে তুলছিল। এসব যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়া এবং বস্তাবন্দি করলে উৎপাদন খরচ অনেক কমে যাবে। কৃষক অবশ্যই লাভবান হবে। সময় এবং অর্থ দুটোই বাঁচবে।

আলোকিত প্রতিদিন // আতারা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here