প্রতিনিধি,নীলফামারী
নীলফামারী ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের খগারচর তিস্তা নদীর শাখা মুখে পল্লীশ্রী ও পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ অর্থায়ণে ২০২৫-১৬ অর্থবছরে ১০ লাখ ৭ হাজার ১৩ টাকায় নির্মাণ করা হয়েছিল সেতুটি। নির্মাণ জনিত ত্রুটির কারণে ৬ মাস যেতে না যেতেই বন্যার পানির স্রোতে সেতুর মাঝ বরাবর ৪টি পিলার দেবে যাওয়ায় সেতুটি সম্পূর্ণভাবে হেলে পড়েছে।ভেঙে গেছে সেতুর দুই প্রান্তের সংযোগ সড়ক। অতি প্রয়োজনীয় এই সেতুটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বছর পাঁচেক আগে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সেতুটির দুই প্রান্তে বাঁশের চাঁটাই দিয়ে ভাঙা সেতুতেই ৫ গ্রামের বাসিন্দাদের মৃত্যু ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হতে হচ্ছে।চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তিস্তা বেষ্টিত উক্ত ইউনিয়নের চরান্ঞ্চলের ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার মানুষ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৩০ মিটার দীর্ঘ ও ৮ ফুট চওড়া সেতুর এক পাশের কিছুটা অংশ পানির ওপরে রয়েছে। মাঝ বরাবর দেবে গেছে। পুরো সেতুটি ৪ অংশে বিভক্ত হয়ে হাঁটাচলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।একদিকে ভাঙা সেতু অন্যদিকে তিস্তা নদী মাঝখানে অসহায় গ্রামবাসী।
ঝাড় সিংহেশ্বর এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হোসেন জানান, সেতু এবং সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে সেতুর দুই প্রান্তে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছেন।আরেক বাসিন্দা মোক্তার হোসেন জানান, তাদের চরে অনেক ফসল হয়। ফসল বিক্রির জন্য তাদের নানা দুর্ভোগে পড়তে হয়। নৌকা দিয়ে অন্য পাশে নেয়া লাগে। আর গবাদি পশু পার করা হয় খালে নামিয়ে।তিনি আরও বলেন, ব্রিজের কাজ ঠিকমতো না করায় আইজ ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও ব্যবহার করতে পারছি না। চরের বাসিন্দা জোসনা(৫৫) বেগম বলেন, গ্রামের কোনো গর্ভবতী মহিলা অসুস্থ হলে তাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। ভাঙ্গা রাস্তা আর সেতু কারনে গর্ভবতী মায়ের অকাল গর্ভপাত হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে ।একাধিক শিক্ষার্থী বলেন,ভাঙ্গা সেতু পার হয়েই তারা বিদ্যালয়ে যায়। তবে সেতুটি পার হতে ভয় লাগে। বন্যার সময় হেঁটে পার হওয়া খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ডিমলা উপজেলা প্রকৌশলী সফিউল ইসলাম বলেন, ওই স্থানে সেতু করার জন্য বন্যা ও দুর্যোগ প্রশমন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রস্তবনা পাঠানো হয়েছে সেতুটি পাশ হলেই আশা করি আগামীতে সেতুটি নির্মাণ করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা