>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
শফিকুর রহমান ও আহসানুল ইসলাম আমিন:
দ্বিতীয় ধাপে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউপি নির্বাচন। সকাল ৭ টা থেকেই ভোটাররা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসতে থাকে। দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষায় থেকেও যেন ক্লান্তি ছিলো না ভোটারদের মাঝে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীদেরকে ভোট দিয়েছেন। কোন কেন্দ্রে ভোটারদের প্রভাবিত করার কোনো সুযোগ ছিলো না। এজন্য কেন্দ্রগুলোতে ভোটাররা অধীর আগ্রহ নিয়ে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও নিরেপেক্ষ করার লক্ষে নির্বাচন কমিশন , আইন শৃংখলা বাহিনী, প্রশাসনের কর্মকর্তা, নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সঠিক ও কঠোর দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ন পরিবেশে সম্পন্ন হয় প্রতিটি ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীন ভাবে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সারাদিন ভোট গ্রহণ শেষে প্রাপ্ত ফলাফলে শ্রীনগর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে যারা বেরসকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- ১. রাড়িখাল ইউনিয়নে – আব্দুল বারেক খান বারী (নৌকা), ২. ভাগ্যকূল ইউনিয়নে – শাহাদাত কাজী (নৌকা), ৩. শ্রীনগর ইউনিয়নে – তাজুল ইসলাম (আনারস) স্বতন্ত্র, ৪. ষোলঘর ইউনিয়নে – আজিজুল ইসলাম ( নৌকা), ৫.তন্তর ইউনিয়নে – আলী আকবর (আনারস) বিদ্রোহী, ৬.আটপাড়া ইউনিয়নে – ফজলুল রহমান ( চশমা) বিদ্রোহী,৭.পাটাভোগ ইউনিয়নে – হামিদুল্লাহ খান মুন (নৌকা), ৮. বীরতারা ইউনিয়নে গাজী শহিদুল্লাহ কামাল জিলু, বিদ্রোহী (আনারস), ৯, শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নে- জি এস নাজির (আনারস) বিদ্রোহী ,১০.হাসাড়া ইউনিয়নে- সোলাইমান (আনারস) বিদ্রোহী , ১১.বাঘড়া ইউনিয়নে- তানজিল (টেলিফোন) বিদ্রোহী, ১২ কোলাপাড়া ইউনিয়নে-রফিকুল ইসলাম বাবু (আনারস) বিদ্রোহী, ১৩. কুকুটিয়া ইউনিয়নে – বাবুল হোসেন বাবু ( আনারস) ব্রিদোহী, ১৪. বাড়ৈখালি ইউনিয়নে – ফারুক হোসেন ( নৌকা)। ১৪ টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে নৌকায় ৫ জন, বিদ্রোহী ৮ জন এবং ১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের স্বতঃফুর্ত উপচেপড়া ভীড় ছিলো। সকল কেন্দ্রেই পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারদের প্রচুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররা। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে খুশি প্রার্থীরাও।
উল্লেখ্য দ্বিতীয় ধাপে শ্রীনগর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ১২৮টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় ভোট গ্রহণ। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচনী মাঠে ৫জন বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট, ১৪ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ২ প্লাটুন র্যাব, পুলিশের ১৪টি মোবাইল টিম, ৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ১টি রিজার্ভ টিম কাজ করেন। প্রতি কেন্দ্রে ৫জন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন ।
নির্বাচনে নৌকা পিছিয়ে পড়ার প্রশ্নে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা বলেন ‘ তৃণমূল আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্ত ও সুপারিশ উপেক্ষা করে মনোনয়ন বোর্ড ব্যক্তি বিশেষের সুপারিশকে প্রাধান্য দিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের দলীয় মনোনয়ন দেয়ার কারণে এই পরাজয় ঘটেছে।’
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ নভেম্বর, ২০২১/ দ ম দ