প্রতিনিধি,দিনাজপুর:
বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেছেন, আমাদের প্রজন্মের জন্য শব্দ দূষণ মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। আজকের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের কর্ণধার হবে। তাদের সুরক্ষা ও নিরাপদ পরিবেশ দেওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য। “শব্দ চাই কিন্তু শব্দ দূষণ চাই না”- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিনাজপুর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প পরিবেশ অধিদপ্তর এর আয়োজনে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থী-শিক্ষক-শিক্ষিকা ও এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালার উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শরিফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর মোঃ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জয়নুল আবেদীন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম, এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মঞ্জুরুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ
পরিচালক মোঃ মইনুল ইসলাম, জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী, বিআরটিএ’র পরিদর্শক নুরুল ইসলাম। শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাদিয়া সাদনান আফি, মোঃ ফাইম হোসেন, প্লাবন কুমার রায়, আবু রায়হান
কবির, শিক্ষকদের পক্ষে এমদাদুল হক, রওশন আরা ছবি। এনজিওদের পক্ষে যোসেম মিনজ, রওনক আরা নিপা, আবু বক্কর সিদ্দিক ও মমতা পল্লী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ ইয়াকুব আলী। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশা। প্রধান অতিথি বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোঃ হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুসারে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, মিশ ও নিরব এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মানমাত্রা অতিক্রম নিষিদ্ধ ও দন্ডনীয় অপরাধ। দিনাজপুরে অবিলম্বে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। শব্দ দূষণের ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস ও স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়, উচ্চ রক্তচাপ ও ফুসফুসজনিত জটিলতা দেখা দেয়, ক্ষুধামন্দ্য ও মানসিক চাপসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হয়, হৃদরোগ সহ মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে, অনিদ্রা ও স্মরণশক্তি হ্রাস পায়। শব্দদূষণজনিত অপরাধের জন্য শাস্তি হলো- প্রথম বার
অনধিক ১ মাস কারাদন্ড বা অনধিক ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড, পরবর্তী অপরাধের জন্য অনধিক ৬মাস কারাদন্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ড।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ নভেম্বর,২০২১/আর এম