চট্টগ্রাম বন্দর দূষণ করলে ৩ বছরের জেল ও জরিমানা

0
376
আব্দুল সাত্তার
চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা দূষণ করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল এবং তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১ইং সংসদে তোলা হয়েছে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করেন। বিলটি পরীক্ষা করে ৬০ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। ১৯৭৬ সালের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন করে বিলটি আনা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে বন্দর এলাকা দূষণের জন্য সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান আছে। প্রস্তাবিত আইনে সেই শাস্তি পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের বিধান অনুযায়ী নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে (যার শাস্তি উল্লেখ নেই এমন ক্ষেত্রে) সর্বোচ্চ ছয় মাসের দণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে। বিলে বলা হয়েছে, বন্দর এলাকায় কোনো জাহাজ বা যান্ত্রিক উপকরণের কারণে যদি বর্জ্য তৈরি হয়, তা হলে তার মালিক বা মাস্টার বা প্রতিনিধিকে তা অপসারণ করতে হবে। অপসারণে সময়সীমা অতিক্রম করলে মাসুল দিতে হবে। তখন বন্দর কর্তৃপক্ষ সেই বর্জ্য অপসারণ করবে। এর জন্য যে খরচ হবে, তার দ্বিগুণ দিতে হবে দায়ীকে। কোনো ভাড়া, জরিমানা, ফি, টোল, মাসুল বা ক্ষতিপূরণ অনাদায়ী থাকলে বন্দর কর্তৃপক্ষ তার নিয়ন্ত্রণে থাকা পণ্য নিলাম করে অর্ধ আদায় করতে পারবে। কোনো জাহাজের মাস্টার বা জাহাজে কর্মরত কারও অবহেলার কারণে যদি ডক, পিয়ার বা কোনো স্থাপনা বা কর্তৃপক্ষের কোনো ক্ষতি হয়, তাতে ক্ষতিপূরণ আদায় করার সুযোগ রাখা হয়েছে বিলে। এ আইন হলে বন্দরের ভাড়া ও টোল আদায়ের বিষয়ে তফসিল তৈরি করে সরকারের কাছে অনুমোদন নিতে হবে। তবে ৫ হাজার টাকার কম হলে অনুমোদন নিতে হবে না। বন্দরের উন্নয়ন সম্প্রসারণে একটি তহবিল রাখার কথাও হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। বিলে বন্দর পরিচালনার জন্য একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি পরিচালনা প্রশাসক বোর্ড রাখার কথা বলা হয়েছে, যেখানে বিদ্যমান আইনে এ বোর্ডে সদস্য আছেন চারজন। প্রতি দুই মাসে অন্তত একটি বোর্ডসভা করার বিধান খসড়া আইনে রাখা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ নভেম্বর,২০২১/আর এম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here