ডিমলায় বাম্পার ফলনে খুুশি কৃৃষক,ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত 

0
376

প্রতিনিধি,নীলফামারী:

নীলফামারী ডিমলা উপজেলায় মৃদু শীতল বাতাসে পাকা সোনালি ধান দোল খাচ্ছে মাঠে মাঠে। পাকা ধান কাঁটতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। দুই দফা বন্যার পর একটু দেরিতে হলেও মাঠে মাঠে সোনালী পাকা আমন  ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে অনাবিল সুখের হাসি ফুটে উঠেছে। এ যেন শত দুঃখ কষ্টের পরেও একটু সুখের ছোঁয়া। মাঠ থেকে নতুন ধান বাড়িতে তোলার জন্য আঙ্গিনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন কৃষাণীরা। গত বছরের তুলনায় চলতি আমন মৌসুমে ফলন ভালো ও দাম বেশি হওয়ায় কৃষকও বেশ খুশি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৪৪৩ হেক্টর জমিতে ৪৯ হাজার ৫৮৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অধিক জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। এ উপজেলায় দুইবারের বন্যায়  কয়েকটি ইউনিয়নের ৮৭০ হেক্টর জমির আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে।তারপরও এবার  আবহাওয়ার অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন, রোপনের পর ধান গাছে নানা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছিল। অনেকবার কীটনাশক স্প্রে করার ফলে ফসলকে পোকামাকড় থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। ফলন খুব ভাল হয়েছে। নতুন ধান পেয়ে আমি আনন্দিত। কৃষক মহসিন বলেন, এ বছর ফসলে ব্যপক পোকামাকড়ের আক্রমন হওয়াতে খরচের পরিমাণ বেশি হয়েছে। মাঝামাঝির দিকে খরায় ক্ষতি করলেও শেষের দিকে বৃষ্টি হওয়াতে ধানের খুব উপকার হয়েছে  ফলে, অনেক ভালো ফলন হয়েছে। খালিশা চাপানি ইউনিয়নের মাহবুবুর রহমান বলেন, অনেক জায়গায় নির্বাচন থাকায় বাহির থেকে কাজের লোকজন চাহিদামত না আসায় শ্রমিকের মজুরি এবার একটু বেশি। যার ফলে প্রতি শতক ৮০-৯০ টাকা দরে ধান কাটতে হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সেকেন্দার আলী বলেন, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরেই আমন ধান  কাটা-মাড়াই চলছে। এ পর্যন্ত ৯০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা ধান কেটে ভুট্টা, আলু, গম, সরিষা, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন রবিশস্যের চাষাবাদ করেন এ জন্য দ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আকস্মিক বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে তা অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবেন কৃষক।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ নভেম্বর,২০২১/আর এম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here