সিরাজদিখানে কালভার্টে উঠতে লাগে বাঁশের সাঁকো

0
302

প্রতিনিধি,মুন্সীগঞ্জ:

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পূর্ব রাজদিয়া গ্রামের জেলেপাড়া নামক এলাকায় প্রায় ৮ বছর আগে নির্মিত কালভার্টে উঠতে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশের সাঁকো। রাস্তা থেকে কালভার্টে উঠতে দুপাশে মাটি না থাকায় বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে পারাপার হচ্ছে পথচারীরা। এর জন্য জনগনকে পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। এলাকাবাসীর অভিযোগ অপরিকল্পিত ভাবে ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে কালভার্টের উপর দিয়ে ২-৩ জন এক সাথে চলাচল করলে কালভার্টটি দুলতে থাকে। গ্রামবাসী বলছে যে কোনো সময় ভেঙে পরতে পারে এ কালভার্ট। সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণের পর থেকেই কালভার্টের এপ্রোজ সড়কের দুইপাশে মাটি ভরাট করা হয়নি। এতে দুই পারের মানুষ কালভার্টের উপরে উঠতে হলে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে লাগে। এছাড়া কালভার্টের উপর দিয়ে ২-৩ জন এক সাথে চলাচল করার সময় কালভার্টটি দুলতে থাকে। গ্রামবাসী আশংকা করছে যে কোনো সময় ভেঙে পরতে পারে এ কালভার্ট। এ কালভার্ট দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে থাকে। স্থানীয় শ্রী বরুণ রাজ বংশী বলেন, এ কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর আগে। কিন্তু তারা কালভার্ট কোন রকম বানিয়ে চলে গেছে । আমরা মেম্বার, চেয়ারম্যানকে অনেক বার বলেছি দুই পাশে মাঠি ফালানোর জন্য তারা কোনো দিন এসেও দেখেনি। এতে করে আমাদের দুর্ভোগ নিয়ে চলতে হচ্ছে। ইছাপুরা ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস শেষ বলেন, আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা মেম্বার, চেয়ারম্যান কালভার্ট বানানোর জন্য নিয়েছে। কিন্তু তারা তাদের কোন টাকা খরচ করেনি আমার মনে হয়। এই কালভার্ট নির্মাণ করার পর থেকে দুই পাশে মাটি ফালাইনি। আমরা খুব দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করচ্ছি। আমরা দুই পাশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে তারপর চলাচল করছি। মেম্বার, চেয়ারম্যান সাহেবদের অনেক বার বলার পরও তারা কোনোভাবেই এই কাজটি করে দেয়নি। এছাড়া কালভার্টটি খুব খারাপ বানিয়েছে। কালভার্টের উপরে উঠলে দুলতে থাকে। আর যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই এটাকে ভেঙ্গে একটি নতুন কালভার্ট বানিয়ে দেওয়ার। যাতে আমাদের এই এলাকার হাজারো মানুষ চলাচল করতে পারে। ইছাপুরা ৬নং ওয়ার্ড সাবেক সদস্য বদুরুজ্জামান বদু বলেন, চেয়ারম্যান সাহেবের নিজস্ব টাকায় এবং নিজের তত্বাবধানে এই কালভার্টটি বানানো হয়েছে আমার পিরিয়ড শেষ সময়ে। কালভার্ট বানানোর জন্য এলাকাবাসীর কাছ থেকে টাকা উঠানো হয়নি। আমার জানা নেই কেউ টাকা নিয়েছে কিনা। আর চেয়ারম্যান সাহেবকে দিয়েছে কিনা সেটাও আমি জানিনা। ইছাপুরা ৬নং ওয়ার্ড সদস্য হুমায়ুন কবির বলেন, এই কালভার্টটি আমার পিরিয়ডে হয়নি, আমার আগের পিরিয়ডে হয়েছে। আর আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে এই বিষয়ে অবগত করেছি । আর একটি বরাদ্দ চেয়েছি যাতে দুই ধারে মাটি ফেলানোর জন্য। ৫০ হাজার টাকার বিষয়ে আমি জানি না । এলাকাবাসী কাকে টাকা দিয়েছে সেটা তারা ভালো জানে। ইছাপুরা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন হাওলাদার বলেন, এক মাসের মধ্যেই ওই কালভার্টের দুই ধারে মাটি ফালানো হবে। কালভার্টের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/১৫ নভেম্বর,২০২১/আর এম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here