দুয়া কবুলের বিশেষ ৩ মুহূর্ত

0
322

ধর্ম ডেস্ক

দুয়া ছাড়া জীবনে সফল হওয়া যায় না।সফলতার মুখ দেখতে হলে মাবুদের কাছে চাইতে হবে।দুয়া করতে হবে।পবিত্র হাদিস শরিফে দুয়াকে ইবাদতের মগজ আখ্যায়িত করা হয়েছে।আমাদের সমাজে কিছু মানুষ   নিরবে হতাশায় ভোগেন । রবের কাছে দুয়া চাইতে তারা নারাজি প্রকাশ করেন।তারা মনে করেন,পাপের হিসাবে মাবুদ তাদের দুয়া কবুল করবেন না।অথচ দুয়া কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর ওলি হওয়া জরুরি নয়। যেকোনো পাপী বান্দার দুয়াও রব্বেকাবা কবুল করেন। যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেই নবিজি সা. দুয়ায় মত্ত হয়ে যেতেন।রবের দরবারে সিজদায় লুটে পড়তেন।আল  কুরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমার কাছে আমার বান্দা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে (তখন বলে দাও যে), নিশ্চয়ই আমি তাদের কাছে। প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনয়ন করে। আশা করা যায়, তারা সফলকাম হবে।’ ( বাকারা- ১৮৬)।

নিচে দুয়া কবুলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সময় নিয়ে আলোচনা করা হলো—

শেষরাতে দুয়া 

শেষ রজনীতে রব্বুল আলামিন দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন। তাই এসময় দুয়া কবুল হয় বেশি করে।হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ প্রতি রাতের শেষ প্রহরে  দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করে বলেন, ‘আছ কি কোনো আহ্বানকারী, আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কোনো প্রার্থনাকারী কি আছ, আমি তোমাকে যা চাও তা দেব। কেউ কি ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব।’ (মুসলিম-৭৫৮)।

আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দুয়া

আজান-ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দুয়া কবুল হয়।মহানবি (সা.) বলেছেন, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী দুয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। (তিরমিজি-২১২)।

ফরজ নামাজের পর দুয়া 

আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুলকে (সা.)- জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! কোন সময়ের দোয়া দ্রুত কবুল হয়? তিনি জবাব দিলেন, রাতের শেষ সময়ে এবং ফরজ নামাজের পর। (তিরমিজি-৩৪৯৮) ।

এ ছাড়া রোগাক্রান্ত অবস্থায়, বালামসিবতের সময়, দূরবর্তী সফরের সময় এবং মা-বাবার দুয়া কবুল হয় বলে হাদিসে এসেছে।

 

আতারা // এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here