আবু সায়েম
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন চুনতি রেঞ্জ ও বারবাকিয়া রেঞ্জের যৌথ অভিযানে অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে স্কেভেটর আটক করা হয়েছে। ২০ নভেম্বর ( শনিবার) চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলামের নির্দেশে সহকারী বনসংরক্ষক মো. আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে চুনতি রেঞ্জ ও বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. হাবিবুল হকের সার্বিক সহযোগিতায় পাহাড়চান্দা বিট এলাকা থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে অপসারণের দায়ে ওই স্কেভেটর আটক করা হয়। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বারবাকিয়া রেঞ্জের পাহাড়চান্দা বিটে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্র অবৈধভাবে মাটি কেটে আসছিল। প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্র এতোটা শক্তিশালী যে প্রতিনিয়ত তারা পাহাড় কেটে মাটি সাবাড়ে নিয়োজিত থাকত। ইতোপূর্বে বন বিভাগের অভিযানে পাহাড় কাটার দায়ে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে বনআইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এমনকি কক্সবাজারের পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ পাহাড় কর্তন এলাকায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেছে।
বিষয়টি চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলামের নজরে আসলে তিনি অভিযানের নির্দেশ দেন। বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. হাবিবুল হক বলেন,বেশ কিছুদিন যাবত প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্র স্কেভেটরের সাহায্যে পাহাড় কেটে মাটি পাচার করে আসছিল। চুনতি রেঞ্জ এবং বারবাকিয়া রেঞ্জের স্টাফ ও বনকর্মীদের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটায় নিয়োজিত স্কেভেটর আটকপূর্বক রেঞ্জ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আসামি ও জড়িতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হবে।পাহাড় কাটা এবং অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রাত্যহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন , অবৈধ বালু পাচারকারী , সরকারি বনভূমি জবরদখলকারী সিন্ডিকেটসহ পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ সজাগ ও সতর্ক রয়েছেন।তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সরকারি বনভূমি উদ্ধার, অবৈধ বালু উত্তোলন রোধসহ সরকারি সম্পদ ও বনজ সম্পদ রক্ষার্থে বন বিভাগের প্রাত্যহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধও জানান তিনি।
আতারা // এপি