শীতের শুরুতেই সিরাজদিখানে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ

0
328

আহসানুল ইসলাম আমিন

শীতের শুরুতেই মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভিড় লক্ষণীয়। সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী অন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নেন । তার অর্ধেকের বেশি ঠাণ্ডাজনিত রোগী, যা আগের মাসের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। রবিবার সকালে সরেজমিনে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেক বেশি। রোগীদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত শিশু হাফিজুরকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা মা সামছুনাহার বলেন, ছেলেটি কয়েকদিন ধরে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত। তাই তাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। ফরিদ হোসেন নামে আরেকজন জানান, আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে, হঠাৎ করেই শীত নেমেছে। আমার ছেলেটাও ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত । এজন্য দেরি না করে ডাক্তার দেখাতে এনেছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ঠাণ্ডাজনিত ১৫ জন রোগী ভর্তি আছে । এছাড়াও গত এক সাপ্তাহে ৩৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মর্কতা ডা. আঞ্জুমান আরা।তিনি বলেন, এখন ঠাণ্ডাজনিত রোগীর চাপ বেড়েছে। যদিও হিমশিম খাওয়ার মতো রোগীর চাপ নেই। তারপরও আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। শিশু রোগীর জন্য আলাদা আইএমসিআই কর্নার আছে। সেখানে একজন শিশু কনসালটেন্ট, একজন মেডিকেল অফিসার, একজন এসএসএমও, একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, শীতের শুরুতে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ একটু বাড়ে। এজন্য শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। শিশুর যেনো ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে মোটা কাপড় পরিধান করাতে হবে। শিশুদের ধুলোবালি থেকে দূরে রাখতে হবে। তাদের খাবার ও খাবারের পাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। পচা-বাসি খাবার খাওয়ানো যাবে না।

 

আতারা //এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here