মাইনুল হাসান মজনু
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় হিংস্র প্রাণীর থাবায় এক গৃহবধূ গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে উপজেলার চিকাশী ইউনিয়নের হটিয়ার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে , হটিয়ারপাড়া গ্রামের দিনমজুর ছামছুর রহমান বোরহানের স্ত্রী মোছা. মহিলা বেগম(৪৫) অভাবের সংসারে তিন মেয়ে সন্তানের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দিতে দিনমজুর স্বামীর পাশাপাশি নিজেও কয়েকটি ছাগল লালন পালন করতেন । কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! শনিবার হটিয়ারপাড়া খালের পাড়ে ছাগল চরিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাড়ী ফেরার পথে পাশের ধান ক্ষেতের ভিতর লুকিয়ে থাকা এক হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের শিকার হন তিনি। গৃহবধূ মহিলা বেগম তার ছাগলকে বাঁচাতে ওই হিংস্র প্রানীটির সাথে তুমুল লড়াই শুরু করেন।এক পর্যায়ে হিংস্র প্রাণীটি ওই গৃহবধূর মুখে থাবা মেরে মাংস তুলে নেয়।এমনকি হাতে পায়ে কামড়ানোর পরেও গৃহবধূ মহিলা বেগম তার ছাগলকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালান। দূর থেকে এমন ঘটনা দেখতে পেয়ে লাঠি নিয়ে দৌড়ে এগিয়ে আসেন স্থানীয় হানিফ ও বাদশা নামের দুই যুবক। গৃহবধূ মহিলা বেগম জীবনের মায়া না করে তার ছাগলকে বাঁচাতে ওই হিংস্র প্রাণীটির গলায় পা দিয়ে ধরে রাখেন। পরে হানিফ ও বাদশা মিয়া লাঠি দিয়ে পিটিয়ে প্রাণীটিকে মেরে ফেলেন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় মহিলা বেগমকে উদ্ধার করে হটিয়ার পাড়া গ্রামের জাবেদ আলীর বাড়ীতে নিয়ে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আবু সাইদকে ডেকে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। মহিলা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মুহূর্তেই খবরটি ছড়িয়ে পড়লে গুরুতর আহত মহিলা বেগম ও হিংস্র প্রাণীটিকে একনজর দেখতে শত শত উৎসুক জনতার সমাগম ঘটে। দেখতে আসা উৎসুক জনতার অনেকেই ওই হিংস্র প্রাণীটিকে হায়না বলছেন আবার কেউ বলছেন শিয়াল। এ-নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আতংক দেখা দিয়েছে।
আতারা // এপি