ফুলবাড়ীতে চিংড়ি চাষে সফলতার হাতছানি 

0
304

প্রতিনিধি,ফুলবাড়ী

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নিজ উদ্যোগে ও নিজস্ব অর্থায়ণে গলদা চিংড়ি চাষ করে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন শৈলেন্দ্রনাথ রায়। ফুলবাড়ীতে একমাত্র চাষি হিসেবে তিনিই গলদা চিংড়ি চাষ শুরু করেছেন। শৈলেন্দ্র নাথ রায়ের বাড়ি উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ভিটা গ্রামে। তিনি তার বাড়ি সংলগ্ন প্রায় এক বিঘা আয়তনের পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে গলদা চাষ শুরু করেছেন। চিংড়ি চাষের প্রথম বছরেই লাভবান হতে পেরে খুশি শৈলেন্দ্রনাথ রায়। বর্তমানে চিংড়ি চাষ করে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। চিংড়ি চাষ করে সফল হওয়ার ফলে এলাকায় অনেকেই গলদা চিংড়ি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চিংড়ি চাষের সম্ভাবনাকে ছড়িয়ে দিতে গলদা চিংড়ি চাষি শৈলেন্দ্রনাথ রায়ের পুকুর পরিদর্শনে আসেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা(অ.দা.) রায়হান উদ্দিন সরদার।আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য চাষী সিদ্দিক খন্দকার, আব্সদুল বাতেন বসুনিয়াসহ অন্যান্য মৎস্য চাষিরািএসময় তারা গলদা চিংড়ি চাষে সফলতার জন্য শৈলেন্দ্রনাথ রায়কে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আগামী দিনে সফলভাবে গলদা চিংড়ি চাষে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। চাষী শৈলেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মৎস্য চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। আমার এই পুকুরে অন্যান্য প্রজাতির মাছ চাষ করে খুব একটা লাভবান হতে পারি না। পুকুরে যে মাছ উৎপাদন হত তা বিক্রি করে কোনরকমে খরচের টাকা তুলতে পারতাম। তাই আমার ভাবনা ছিল পুকুরে অন্য কোন প্রজাতির মাছ চাষ করে লাভবান হওয়া যায় কিনা। সেই ভাবনা থেকে মাত্র দশহাজার টাকা দিয়ে গলদা চিংড়ি চাষ শুরু করি। এ মাছ চাষে তেমন কোন খরচ নেই। এ পর্যন্ত আমি পনেরো হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছি। এখনও পুকুরে যে পরিমাণ মাছ আছে তা  ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা বিক্রি হবে। স্বল্প খরচে মাছ চাষ করে লাভবান হতে পেরে আমি খুব খুশি। আগামী দিনে ব্যাপক পরিসরে গলদা চিংড়ি চাষ করব।

আতারা //এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here