মো. আবু বকর সিদ্দিক
কুমিল্লায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সিটি কর্পোরেশন-এর প্যানেল মেয়র ও ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো.সোহেল এবং শ্রমিকলীগের সভাপতি হরিপদ সাহা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার বিকেল পৌনে ৪ টায় নগরীর পাথুরীয়াপাড়া এলাকায় কাউন্সিলরের অফিসে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল (৪৫) পাথুরীয়াপাড়া এলাকার সৈয়দ শাহজাহানের ছেলে এবং শ্রমিকলীগনেতা হরিপদ সাহা (৫৫) নবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল প্রায় পৌনে চারটার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল নিজ কার্যালয়ে বসে কয়েকজনে মিলে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন। পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে ৪টি মোটরসাইকেল যোগে ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত মুখে মাস্ক ও মাথায় হেলমেট পরে ওই কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এতে কাউন্সিলরের পেটে, বুকে এবং মাথায় ৯টি এবং হরিপদ সাহার পেটে ও বুকে ২ টি গুলি বিদ্ধ হয়। এলোপাথাড়ি গুলিতে এডভোকেট মো. সোহেল চৌধুরী (৩৮), মাজেদুল হক বাদল (২৮), জুয়েল (৪০) ও আব্দুল আওয়াল নামে ৪ জন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপারেশন থিয়েটারে প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল এবং হরিপদ সাহা আইসিইউতে মারা যান।তাদের মৃত্যুর বিষয়টি রাত প্রায় সাড়ে আটটার দিকে কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ড. মহিউদ্দিন আহমেদ নিশ্চত করেন। বাকি চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া জানান, সন্ত্রাসী শাহ আলমের মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে আসছিলেন কাউন্সিলর সোহেল। এ নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী শাহ আলম ও সুমনের নেতৃত্বে একদল মুখোশ ও হেলমেটধারী সন্ত্রাসী এ হামলা চালায় বলে তিনি দাবি করছেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলর-এর বেশ কয়েকজন সমর্থকের বাড়িঘরও ভাংচুর করে। এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় বেশ আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল আজিম বলেন, সন্ত্রাসীদের গুলিতে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও হরিপদ সাহা নিহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু করেছি। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ হামলার ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে অতি দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে।
আতারা //এপি