আবু সায়েম
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম বলেছেন, বন্যহাতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এলাকাবাসীকে সচেতন হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন টেকনাফ উপজেলার শিলখালী রেঞ্জের উদ্যোগে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহযোগিতায় মঙ্গলবার “মানুষ – হাতি সংঘাত” নিরসন শীর্ষক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ,সামুদ্রিক জীববৈচিত্র এবং বনসম্পদ রক্ষাকল্পে জনসচেতনতামূলক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান । জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ( ডিএফও) মো. সারওয়ার আলম । শিলখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানের শুভেচ্ছা বক্তৃতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নেছার এন্ড লাইফ প্রকল্পের ডিপিডি নারায়ণ চন্দ্র দাস। সভায় শিলখালী বিটের দেড় শতাধিক নারী পুরুষ,স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ বনবিভাগের ফরেস্টারসহ ভিলেজারগন উপস্থিত ছিলেন জনসচেতনতামূলক সভায় বক্তারা মানুষ হাতি সংঘাত নিরসন এবং বন্য প্রাণী সংরক্ষণে এলাকাবাসী কে সচেতন হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান করেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম আরও বলেন, বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি সংরক্ষণ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব । নির্বিচারে বন্য প্রাণী হত্যা, ধরা এবং শিকার করা যাবে না । বন্য হাতিদের আঘাত করে নিধন করলে প্রকৃতির ভারসাম্যে বিরাট প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, সামাজিকভাবে সচেতন হয়ে আমাদের মানুষ ও হাতি সংঘাত নিরসন করে বন্যপ্রাণী ও হাতিদের বাঁচাতে এগিয়ে এসে বন সম্পদ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বন্যহাতি লোকালয়ে চলে আসলে তিনি বন বিভাগকে অবগত করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কোন ভাবেই হাতিকে আক্রমণ করা যাবে না ।সারওয়ার বলেন, বন্যহাতি, বন্যপ্রাণী , বনজদ্রব্য, বনভূমি রক্ষার্থে বন বিভাগ সজাগ রয়েছেন। মানুষ ও হাতির সংঘাত নিরসন এবং বনজসম্পদ, বন্যপ্রাণী রক্ষা এবং বনভূমি জবরদখলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তাছাড়া বন বিভাগ বন্যহাতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বন্যহাতি কর্তৃক কারো প্রাণহানি ঘটলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাসহ স্থানীয় কোন ব্যক্তির ফসল নষ্ট করলেও ক্ষতিপূরণের বিধান আছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীকে সচেতন এবং ধৈর্য ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান ডিএফও।
আতারা //এপি