নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ও জেগে ওঠা নতুন নতুন চরাঞ্চলের স্থায়িত্ব দেখতে আসেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত এ্যান ভ্যাঁ লিউয়েন।
চরাঞ্চল পরিদর্শনে ডাচ্ রাষ্ট্রদূত
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। এ বিষয়ে বন বিভাগ নোয়াখালী একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।নিচে বিজ্ঞপ্তিটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
“কিংডমস অব নেদারল্যান্ড-এর মাননীয় রাষ্ট্রদূত “Mr. Anne van leeuwen”, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সিনিয়র সচিব জনাব কবির বিন আনোয়ার মহোদয় ,চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন-ব্রিজিং প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী পরিচালক (পিসিডি) জনাব সাঈদ আহাম্মেদ; জনাব মো. ফরিদ মিঞা,বিভাগীয় বন কর্মকর্তা উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালী, নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালী, জনাব কাজী তারিকুর রহমান; সহকারী বন সংরক্ষক নোয়াখালী জেলা,রেঞ্জ কর্মকর্তা জনাব মো. নাহিদ হাসান ও এস.এম সাইফুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ২১/১১/২১ইং তারিখে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন চরে উপকূলীয় বন বিভাগ, নোয়াখালী কর্তৃক সৃজিত ম্যানগ্রোভ নার্সারী ও বাগান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে কিংডমস অব নেদারল্যান্ড -এর মাননীয় রাষ্ট্রদূত “Mr. Anne van leeuwen” জানান,বন বিভাগ কর্তৃক উপকূলীয় এলাকায় বনায়নের মাধ্যমে সৃষ্ট সবুজ বেষ্টনী উপকূলবর্তী বসবাসরত জনগণকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ (ঘূর্নিঝড়,বন্যা,জলোচ্ছ্বাস, খরা ইত্যাদি) মোকাবেলা এবং জনমালের নিরাপত্তায় প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় দিয়ে থাকে।তাছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন জেগে ওঠা চরের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি ও ভূমির আয়তন বৃদ্ধিতে বনের ভূমিকা অপরিসীম। পাশাপাশি সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে দারিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন জীববৈচিত্র সংরক্ষণে বনের গুরুত্ব অতুলনীয়।উপকূলীয় এলাকায় নদী ভাঙ্গন ও ভূমিক্ষয়রোধে স্থায়ী প্রতিরোধক হিসেবে বনের বিকল্প নেই। বন বিভাগের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মাননীয় রাষ্ট্রদূত এবং সিনিয়র সচিব মহোদয় সন্তোষ প্রকাশ করে বনায়নের সাথে জড়িত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।ভবিষ্যতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বেড়িবাঁধ ও খালপারে বনায়ন সৃজন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।”