আবু সায়েম
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন উখিয়া রেঞ্জের উদ্যোগে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহযোগিতায় ২৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) “বন্যপ্রাণী প্রকৃতির অংশ,আমরা প্রকৃতিকে বাঁচাবো আগামী প্রজন্মের জন্য “এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে “মানুষ – হাতি সংঘাত” নিরসন শীর্ষক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ,সামুদ্রিক জীববৈচিত্র এবং বনজসম্পদ রক্ষাকল্পে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলমের নির্দেশে রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. গাজী শফিউল আলমের সভাপতিত্বে দোছড়ি বনবিট কার্যালয়ে জনসচেতনতামূলক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দোছড়ি বনবিটের দেড়শতাধিক নারী-পুরুষ,স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ, বন বিভাগের ফরেস্টার,বিটকর্মকর্তা ও হ্যাডম্যানসহ ভিলেজারগণ উপস্থিত ছিলেন।
জনসচেতনতামূলক সভায় বক্তারা “বন্যপ্রাণী প্রকৃতির অংশ, আমরা প্রকৃতিকে বাঁচাবো আগামী প্রজন্মের জন্য “এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে মানুষ হাতি সংঘাত নিরসন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতন হয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান করেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারী বনসংরক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি সংরক্ষণ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব । নির্বিচারে বন্যপ্রাণী হত্যা, ধরা এবং শিকার করা যাবে না ।বন্যহাতিদের আঘাত করে নিধন করলে প্রকৃতির ভারসাম্যে বিরাট প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেন, সামাজিকভাবে সচেতন হয়ে আমাদের মানুষ ও হাতি সংঘাত নিরসন করে বন্য প্রাণী ও হাতিদের বাঁচাতে এগিয়ে এসে বন সম্পদ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বন্যহাতি লোকালয়ে চলে আসলে তিনি বন বিভাগকে অবগত করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তবু যেন হাতিকে আক্রমণ করা না হয়। বন্যহাতি কর্তৃক কারো প্রাণহানি ঘটলে অথবা কারো ফসল নষ্ট করলে বনবিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আছে।উক্ত জনসচেতনতামূলক সভায় বায়োডাইভারসিটি কর্মকর্তা ইশরাত ফাতেমা, ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা তোসাদ্দেক হোসাইন,আরন্যক ফাউন্ডেশনের কো- অর্ডিনেটর মাহবুবুর রহমান,ফরেস্ট্রী এক্সপার্ট কৃষ্ণ কুমার গুপ্ত, ইউপি সদস্য সৈয়দ হামজা উপস্থিত ছিলেন।
আতারা //এপি