রণক্লান্ত এক মুজাহিদের অবসান

0
403

আমিনুল ইসলাম কাসেমি

গত বছর চরমোনাই-এর ফাল্গুনি মাহফিলে ওলামা সন্মেলনে হাজির হয়েছিলেন হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী । সেগুলো এখন স্মৃতি। তিনি অনেক উদারতার পরিচয় দিয়ে ছিলেন। যে কারণে অনেক কথা শুনতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি ছিলেন ধৈর্যের পাহাড়। কারো কথায় ঘাবড়ে যান নি। এবং সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা করেন। যাতে মরহুম সৈয়দ ফজলুল করীম রহ.-এর স্মৃতিচারণ ছিল।রণক্লান্ত এক মুজাহিদ তিনি। হেফাজতের দায়িত্ব লাভের পর অনেক হেকমত এবং সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। বিশেষ করে কারারুদ্ধ আলেম- উলামাদের মুক্তির ব্যাপারে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। যার একটা বড় দৃষ্টান্ত হেফাজতের ওলামা সন্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের আগমন। নিঃসন্দেহে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এটি। তিনি যে কৌশলী ছিলেন এবং ব্যালেন্স করে চলার চেষ্টা করেছেন, সেটা প্রমাণিত ।

আক্রমনাত্মক ভঙ্গিতে না গিয়ে রক্ষাণাত্মক স্টাইলে তিনি এগোচ্ছিলেন। যেটা একজন প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিকের পরিচয় বহন করে। নিজের দল এবং নেতা- কর্মীকে বাঁচিয়ে সামনে চলাটা যোগ্য নেতার পরিচয়। যেমন আল্লামা আহমদ শফি সাহেব এমন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যার দ্বারা আল্লামা শফি সাহেব ছিলেন সর্বমহলে প্রশংসিত।আল্লামা জিহাদী সাহেব তো আল্লামা শফির খলিফা। তাঁরই হাতেগড়া সন্তান। সুতরাং স্বীয় উস্তাদের দুআ এবং ফয়েজ তাঁর উপর ছিল। যে কারণে তিনিও আলো ছড়াচ্ছিলেন।তবে শেষমেষ থেমে গেলেন জিহাদী সাহেব।সবাইকে কাঁদিয়ে মওলার ডাকে সাড়া দিলেন।তাঁর মৃত্যুতে অবসান হল রণক্লান্ত  এক বীর মুজাহিদের । আর তাঁর দেখা মেলবে না। চরমোনাইতে আর পাওয়া যাবে না তাঁকে।মহান আল্লাহ তাঁকে জান্নআতের সুউচ্চ আসনে সমাসীন করুক!আমিন!

আতারা // এপি

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here